শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনাকালে বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ আত্মসাৎ : নেটিজেনদের ক্ষোভ ও নিন্দা

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৩:২৫ পিএম

সারা বিশ্বে চলছে মহামারী কোভিড-১৯। করোনা ভাইরাস থেকে ছড়ানো এই বৈশ্বিক মহামারীর সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে লকডাউন করা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও দেশের স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য ত্রানের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এই করোনাকালেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় কিছু নেতারা সেই ত্রান আত্মসাৎ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় নেতাকে এই অপকর্মের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিরস্কার, তিব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে নেটিজেনরা। এসব অপরাধীদেরকে কঠোর শাস্তির প্রদানের দাবি জানিয়েছে তারা।

বিষয়টি নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান সুমন তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘সরকার যদি দাফনের জন্য সাদা কাপড় বিতরণ করে। তাহলে চাল চোররা সেটা লুটে নিয়ে পাঞ্জাবি বানাবে।’

‘সারাদেশে যত চাল চোর ধরা পরেছে, এত করোনা রোগী ও ধরা পরেনি। ’ - মাহমুদুল হাসান মাসুদের মন্তব্য।

বিস্ময় প্রকাশ করে রাকিবুল ইসলাম লিখেন, ‘এই সময়ে চুরি! মরবে না বাঁচবে এটা একটু চিন্তা করলো না ওরা? ওদের মতো অমানুষ রাজনীতিবিদদের কঠিন শাস্থি হওয়া দরকার! এরা নিজের প্রয়োজনে যেকোন কিছু করতে পারে! নেতা হিসেবে ভালো মানুষ নির্বাচন করলে এমনটা হতো না!’

‘এ সব পশুদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে, আর কখনো যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত।’ - বিকাশ দেব নাথের দাবি।

নিক্ষিলেশ গায়েন মনে করেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান / মেম্বর তথা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যেকেনো ধরনের বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ করা উচিত। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া যথার্থ হবে।’

করোনার সময় ত্রান চুরি! যেখানে সারা বিশ্বে চলছে প্রিয়জন হারানোর চিৎকার, আর সেখানে এরা করছে চুরি! আমি তো ভাবতেই পারছি না।’ - লিখেছেন আজিমুন নেসা মুন।

সাইফুল ইসলাম লিখেন, ‘যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, ত্রান নিয়ে যদি কেউ অনিয়ম করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এখন যারা এই অপকর্মগুলো করেছে, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার ছাড়া কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছ? শুধু গ্রেফতার? আমার মতে প্রমাণ পাওয়ার সাথে সাথে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে পদ থেকে বহিস্কার করে যাবতজীবন সাজা দেয়া উচিত।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে শান্তা আক্তার লিখেন, ‘এদের মধ্যে মরণ বা সৃষ্টিকর্তার কোন ভয় নাই। নাই মনুষত্ব। এরা সমাজের জন্য আবর্জনা। এদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Noor Mohammad ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৪:০৪ পিএম says : 0
করোনার করুনাময় এগুলো নিপাত যাক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন