উচ্চ ঝুঁকির চট্টগ্রামে এখনও একটি মাত্র পরীক্ষাগারে চলছে করোনা টেস্ট। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে পরীক্ষার জন্য নমুনাজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের ১০ জেলা থেকে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন গড়ে ২০০টি নমুনা আসলেও পরীক্ষা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০টি। দ্রুত রিপোর্ট না পাওয়ায় করোনা সনাক্ত ব্যাহত হচ্ছে, আর তাতে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রায় এক মাসে মাত্র ১৫৮০ জনের নমুনা পরিক্ষা করা গেছে।
করোনা চিকিৎসা নিয়েও সঙ্কট কাটছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুযোগ থাকলেও সমন্বয়ের অভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলছে সব কিছু। নমুনা পরীক্ষায় সক্ষমতা বাড়ানো হয়নি। বিআইটিআইডিতে পরীক্ষার জন্য পিসিআর আছে মাত্র দুটি। এর একটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধারে আনা। সেখানকার কর্মকর্তারা জানান, নমুনা পরীক্ষায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। টানা বারো ঘণ্টা কাজ করেও অনেক নমুনা পড়ে আছে। সেখানে লোকবলের ঘাটতিও আছে।
চমেক হাসপাতালে আরও একটি পিসিআর বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাজ চলছে ধীরগতিতে। ভেটেরিনারি ভার্সিটিসহ কয়েকটি সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানে করোনা টেস্টের সুযোগও কাজে লাগানো যাচ্ছে না বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, বিআইটিআইডিতে কয়েকশ নমুনা পড়ে আছে। এতবেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। চমেক হাসপাতালের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, শিগগির সেখানে টেস্ট শুরু হবে। । ভেটেরিনারি ভার্সিটির ল্যাবেও পরীক্ষা শুরুর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে পাঁচ জন মারা গেছেন। সুস্থ তিনজন, বাকিরা হাসপাতালে। তবে চিকিৎসা এখনও অপ্রতুল। জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটের ২৪ জন রোগীকে একটি টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে, বেসিনও মাত্র একটি।
চিকিৎসক ও নার্সদের থাকা খাওয়াসহ নানা সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে সিভিল সার্জন দাবি করেন সঙ্কট কাটছে, সার্বিকভাবে চিকিৎসায় সক্ষমতা বাড়ছে। আইসিইউ ইউনিট চালু হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। অপরদিকে করোনা চিকিৎসায় গতকাল চট্টগ্রামে দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছে। সীতাকুন্ডে ভেন্টিলেটর সুবিধাসহ ৪০ বেডের হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়–য়া। নাভানা গ্রুপের সহায়তায় চালু হাসপাতলে সব সুযোগ সুবিধা আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন