রমজানকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও মূল্যবৃদ্ধির সাথে টিসিবি পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় ২৭টি ট্রাকে করে চিনি, খেজুর, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করছিল রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থাটি। বরিশাল মহানগরীতে ১০টি ট্রাকে টিসিবি পণ্য বিক্রি করলেও কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। প্রতিটি ট্রাকের পেছনেই ২-৩শ’ মানুষের লম্বা লাইন।
ফলে জেলা প্রশাসন থেকে রাস্তার পাশের পরিবর্তে স্কুলÑকলেজের খেলার মাঠে ট্রাক দাড় করিয়ে পণ্য বিক্রির জন্য টিসিবিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে তা পুরোপুরিভাবে পালন হচ্ছে না। প্রতিটি ট্রাকের পেছনেই বিপুল সংখ্যক মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষমান দেখা যাচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি যেমনি নিশ্চিত হচ্ছে না, তেমনি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও ক্রমশ বাড়ছে।
এ অবস্থা উত্তরণে বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে অন্তত ২০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি দরকার। এতে ক্রেতাদের পণ্য কেনার সময় যেমনি বাঁচবে, তেমনি ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে। ফলে সামাজিক দূরত্বও রক্ষা পাবে।
টিসিবি বরিশাল অফিসের আওতায় বিভাগে মোট ডিলারের সংখ্যা ৯৮ জন হলেও পণ্য তুলছেন ৭৫ জনেরও কম। ফলে গাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে না। মহানগরীতে চলমান ১০টি ট্রাক বাদ দিলে অবশিষ্ট ১৭টি ট্রাকে বাকি ৫টি জেলা সদর ও ৪১টি উপজেলা সদরে পণ্য বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সবগুলো উপজেলা সদরেও টিসিবির পণ্য পৌঁছাচ্ছে না। এ ব্যাপারে টিসিবির বরিশাল অফিসের প্রধান জানান, তারা চেষ্টা করছেন সব ডিলারের মাধ্যমে সবগুলো উপজেলা সদর পর্যন্ত পণ্য পৌঁছে দিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন