পুলিশ ১ এপ্রিল আহমেদকে পূর্ব দিল্লীর শাস্ত্রি পার্ক থেকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি জানান, চার থেকে ছয়জন মানুষকে একসাথে অস্থায়ী কক্ষে রাখা হয়েছে। সেখানে কোন ফ্যান নেই, ফলে গরম গুমট পরিবেশে তাদেরকে থাকতে হচ্ছে। সাহরি ও ইফতারিতে খাবারের অভাব নিয়েও হতাশা জানান তিনি। এর কারণে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখাটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, “সাহরির সময় তারা কোন খাবার দেয় না এবং যখন ইফতারির সময় হয়, তখন আমাদেরকে কিছু খেজুর আর দুটো কলা দেয়া হয়”। “আমরা বাড়ি চলে যেতে চাই, এখানে আমাদেরকে আটকে রাখার কোন কারণ নেই, বিশেষ করে যেখানে তিনবার আমাকে পরীক্ষা করে কিছু পাওয়া যায়নি”। ইজহার আহমেদ কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এক মাস পার করেছেন। যতদিন তার থাকার কথা, তার দ্বিগুণ সময় নয়াদিল্লীতে সরকারের আইসোলেশান ক্যাম্পে কাটিয়েছেন তিনি। কেন তাকে এখনও বাড়ি যেতে দেয়া হচ্ছে না, জানেন না তিনি। ৪০ বছর বয়সী আহমেদ দিল্লীর ওয়াজিরাবাদ এলাকার কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে আল-জাজিরাকে বলেন, “এক মাসের মধ্যে তিনবার তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকবারই ফলাফল নেগেটিভ এসেছে”। আহমাদের মতো তাবলিগি জামাতের হাজার হাজার সদস্যকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আটকে রাখা হয়েছে। আল-জাজিরা, এসএএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন