বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং পবা-মেহানপুর থেকে গত সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে নির্বাচনী রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডে তিনি নিজ উদ্যোগে এবং ব্যক্তিগত অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও সংক্রমণের হার প্রতিদিন বেড়েই চলছে। পরীক্ষা যত বাড়ছে সংক্রমনের হার তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুও ঘটছে প্রতিদিন।
দেশে একটি মাত্র জেলা বাদে সকল জেলা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রথম দিকে সরকারের উদাসিনতার কারনে বাংলাদেশ এখন হুমকীর মুখে পড়েছে বলে জানান মিলন। তিনি আরো বলেন, নকল ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাকের কারনে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে করে করোনা আক্রান্তসহ অন্যান্য রোগিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মিলন বলেন, এই করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে এবং সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার পুরো দেশকে লকডাউন ঘোষনা করেছেন। সারা দেশের ন্যায় বেশ কিছুদিন হতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত রাজশাহীতে চলছে লকডাউন। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও যানবাহন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ থাকায় কর্মহীন পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। দীর্ঘ সময় লকডাউন থাকায় এবং কর্ম করতে না পাড়ায় তাদের ঘরে দেখা দিয়েছে খাবার অর্থের সংকট। শুধু তারাই নয় মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বেশী বিপাকে।
এই সকল মানুষের মুখে সামান্য দূমুঠো খাবার তুলে দিতে কাজ করে চলেছের তিনি। মিলন বলেন, সরকার দলীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন ত্রাণের চাল ও নগদ অর্থ চুরি নিয়ে ব্যস্ত, তখন বিএনপি নেতৃবৃন্দ নিজ উদ্যোগে নিজ অর্থ ব্যয় করে ক্ষুধার্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। পুরো রোজার মাস এই ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি। সেইসাথে হ্যান্ডস্যানিটাইজার, সাবান ও মাস্ক বিতরণও চলমান থাকবে।
সোমাবর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর সপুরাস্থ নি কার্যালয় থেকে পবার হরিয়ান ইউনিয়ন, হড়গ্রাম ইউনিয়নের ১,২,৩,৬,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। সেইসাথে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার জন্য নেতাদের অনুরোধ করেন তিনি। সেইসাথে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শসহ বার বার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার আহবান জানান তিনি। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য এলাকাবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান মিলন।
খাদ্য সামগ্রী প্রদানের সময় হড়গ্রাম ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহবায়ক আনারুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মুকুল, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান, বর্তমান আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুল রহমান ও বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াহেদ ও জিয়াউর রহমান, যুবদল কেন্দ্রীয় কিমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল ইসলাম শুভ, পবা যুবদল আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, রাজশাহী সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লিমন ও শাহ্ মুখ্দুম থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি পরাগসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন