শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনলেন বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১০:০৩ এএম

এ যেন এক বিরল ঘটনা। বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পণ্য কেনার জন্য স্থানীয় ওয়েট্রোস স্টোরের বাইরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার জন্য কোনো ভিআইপি ছাড় নেই। তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলে তাকে সবার আগে পণ্য কেনার সুযোগ দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তিনিও সে চেষ্টা করেন নি। তিনি শুধু লাইনেই দাঁড়ান নি। একই সঙ্গে রক্ষা করছেন সামাজিক দূরত্ব।

৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে তিনি যখন লাইনে দাঁড়ানো, তখন তার হাতে মোবাইল। তাতে তিনি কিছু একটা চেক করছিলেন। সচিত্র এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল।

এতে বলা হয়েছে, তেরেসা মে এখন আর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা নন। অর্থাৎ তিনি এখন আর প্রধানমন্ত্রী নন। ব্রেক্সিটের বলি হয়ে গত বছর জুলাইয়ে ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের হাতে। তাকে এই করোনা সঙ্কটকালে শনিবার দেখা গেছে স্থানীয় একটি ওয়েট্রোস দোকানের বাইরে ওভাবেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি সামাজিক দূরত্ব রক্ষার এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।

তেরেসা মে’র একটি বিখ্যাত উক্তি আছে। তিনি বলেছিলেন, তার দুষ্টুমির মধ্যে একবার তিনি গমের ক্ষেতের ভিতর দিয়ে দৌড়েছিলেন। সেই তাকে এবার দেখা গেছে বার্কশায়ারে ওই ওয়েট্রোস স্টোরের সামনে হাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ধরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন।

এ সময় তার পরনে ছিল স্মার্ট কালো ব্লেজার, লালচে একটি স্কার্ফ এবং গাঢ় সানগ্লাস। শান্ত মাথায় তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। কখনো মোবাইল চেক করছেন। ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রেখে গুড ফ্রাইডে রাশ শপিংয়ের সময় তিনি হয়তো এ সময় বাকি বিশ্বকে দেখে নিচ্ছিলেন মোবাইলে। তিনি গত জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়লেও ব্যাকবেঞ্চের একজন এমপি এখনও।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন তিনি একটি বিরল বিবৃতি দিয়েছিলেন। সাধারণত তিনি খুব একটা কথা বলেন না। তবে তেরেসা মে ওই বিবৃতিতে বলেছিলেন, বরিস জনসন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সময়ে তার প্রতি ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার সহমর্মিতা ও প্রার্থনা থাকছে।

৬৩ বছর বয়সী ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের এই এমপি ওই স্টোরে প্রবেশ করে ৪৫ মিনিট অতিবাহিত করেন। সেখানে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন খাদ্যপণ্য ঘুরে দেখেন। কিনে নেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এরপর একটিমাত্র ব্যাগ হাতে নিয়ে স্টোর ত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেন, তিনি খাবার মজুদ করে রাখার মতো পণ্য কেনে নি। তিনি সবটা নিয়ম মেনে কেনাকাটা করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন না স্বামী ফিলিপ। তাকে তিনি সোনিংয়ের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন। এই সোনিং এলাকায় বসতি জর্জ ক্লুনি, আমাল ক্লুনি ও লেড জেপেলিনের তারকা গিটারিস্ট জিমি পেইজের।

এদিন যে শুধু বিখ্যাত মুখের মধ্যে তেরেসা মে’ই কেনাকাটা করেছেন ইস্টার উইকএন্ডে তা নয়। কেনাকাটা করেছেন ‘আওয়ার গার্ল’ ছবির অভিনেত্রী মিশেলে কেগানও। তাকে দেখা গেছে এসেক্সে অবস্থিতি এমঅ্যান্ডএস-এর বাইরে একটি ট্রলি ঠেলে নিচ্ছেন। অন্যদিকে পশ্চিম লন্ডনের বাডজেন্সের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অভিনেত্রী হেলেনা বোনহ্যাম কার্টারকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Md. Razu Ahmed ১০ মে, ২০২০, ১১:১৮ এএম says : 0
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে কে প্রশংসা করে তাকে ছোট করতে চাই না।শুধু আমি বলতে চাই আল্লাহ তাকে আবারও দেশ সেবায় নিয়োজিত করুন। আমি তার ও তার পরিবারবর্গের দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করছি। সেই সাথে আমি প্রত্যাশা করছি আমাদের দেশে এই রকম দেশ পরিচালনায় এক সৎ ও সাহসী নেতা প্রয়োজন। আল্লাহ কবে আমাদের দেশে এইরকম নেতা আসবে। আল্লাহ তুমি আমার মনের আশা পূরণ করে দাও। আমিন। মোঃ রাজু আহমেদ। বাংলাদেশ।
Total Reply(0)
সরদার নুরুল ইসলাম ১০ মে, ২০২০, ১২:০৯ পিএম says : 0
অসাধারণ বিষয়, সাধারণের পাশে অসাধারণ ভাবে এ করনার মাঝে আসার মহত্তর সাহসিকতা।সালাম!
Total Reply(0)
MUNIR ১০ মে, ২০২০, ৭:৩১ পিএম says : 0
এরকম দৃশ্য ইংল্যান্ডের মত দেশে বিরল নয়। থেরেসার মের আগের প্রধানমন্ত্রী ডেভিট ক্যামেরন কেও লন্ডনের টিউবে(মেট্রোরেল) সাধারণ যাত্রীদের সাথে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। আসলে আমাদের দেশের যে রাজনৈতিক অবস্থ, তাতে এগুলো বিরল বলেই মনে হয়।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ১৬ মে, ২০২০, ১০:৪৭ এএম says : 0
তেরেসা মে আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। *******।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন