পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদুউল ফিতর উপলক্ষে ক্রয়বিক্রয়, ব্যবসা–বাণিজ্য, অর্থের লেনদেন ও স্থানান্তর বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে চুরি, ছিনতাই, দস্যুতাসহ মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির অপতৎপরতাও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া করোনার বৈশ্বিক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। যার জন্য ঢাকার রাস্তাঘাট অন্যান্য সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেকটাই ফাঁকা। একটু অসতর্কতার জন্য আপনার কষ্টে উপার্জিত অর্থ ছিনিয়ে নিতে পারে দুষ্কৃতিকারীরা। অনেক সময় এই অর্থেও জন্যই হয়তো হারাতে হতে পারে নিজের প্রাণও। তাই অর্থ বহন ও উত্তোলনে সতকর্তা অবলম্বন করুন। বড় অংকের অর্থ বহনের ক্ষেত্রে আপনার অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানি এস্কর্ট সেবা দিচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল ডিএমপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বড় অংকের অর্থ একা বহন করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে সাথে অতিরিক্ত একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে সাথে রাখার জন্য বলা হয়েছে। অর্থ বহন সংক্রান্তে কোন তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে মোটর সাইকেল কিংবা গাড়িতে অর্থ বহন করতে বলা হয়েছে। আবার নগদ অর্থ বহনের পূর্বে নিশ্চিত হয়ে যেন নিজস্ব দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতিকারীদের না জানিয়ে দেয়, বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। আবার দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে ভিন্ন পথ ব্যবহার করতে যেন দুষ্কৃতিকারীরা পূর্বেই ওত পেতে থাকার সুবিধা নিতে না পারে সে বিষয়ে খেলার রাখতে বলা হয়েছে। আর অর্থ বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, যেন বাইরে থেকে বুঝতে না পারে। এতে দুষ্কৃতিকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না। বড় নোট ব্যবহারে সচেষ্ট হন।
ডিএমপির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, সকল টাকা একসাথে না রেখে বিভিন্ন জায়গায় যেমন: পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গীয় ব্যক্তির নিকট ভাগ করে রাখুন। গলি পথ কিংবা নির্জন পথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন। সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সাথে লেনদেন করুন। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর বুঝতে চেষ্টা করুন সন্দেহজনক কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে কিনা তা খেয়ার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আর বড় অংকের অর্থ পরিবহনের কাজটি রাতে না করে দিনের বেলায় সম্পন্ন করার চেষ্টা করা এবং এটিএম বুথে টাকা তুলতে গেলে বুথের ভেতরে কেউ আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। কেউ থাকলে তিনি বের হবার পর আপনি বুথে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। এটিএম বুথের অভ্যন্তরে আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত পিন নম্বরটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। সম্ভব হলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার এর কাজটি চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন