শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসি’র অভিযানে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে ডিএনসিসি। গতাকল মঙ্গলবার ডিএনসিসি’র আওতাধিন বিভিন্ন এলাকায় মোট আটটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন অপরাধে মোট ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় কারা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।
ডিএনসিসি পরিচালিত মোবাইল কোর্টগুলো হচ্ছে- অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে উত্তরায়; অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শফিউল আজম মিরপুরে; অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম ওয়ার্ড-২১ এর বাড্ডার ক-বø¬ক ও মধ্যবাড্ডা এলাকায়; অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন ডিএনসিসির ৩১ নং ওয়ার্ডের আসাদ এভিনিউ এলাকায়; অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে; প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া অঞ্চল-৯ এ এবং ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসলিনা পারভীনের নেতৃত্বে গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকায় পরিচালনা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ডিএনসিসি’র জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাননো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন উত্তরা ১ নং ওয়ার্ডের ৭ নং সেক্টর ও সোনারগাঁ জনপথে এবং ওয়ার্ড-১৭ এর কুড়িল অম কুড়াতলীতে প্রায় ২০ টি নির্মানাধীন ভবন ও অফিস পরিদর্শন করেন। পরদর্শনকালে ৪টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সেসব বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। একইসাথে ৩দিনের মধ্যে উক্ত স্থানের জমা পানি অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শফিউল আজম মিরপুরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে তিনি ১১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ১টিতে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব খুঁজে পেলে ৫ হাজার জরিমানা করেন।
অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম ওয়ার্ড-২১ এর বাড্ডার ক-বø¬ক ও মধ্যবাড্ডা এলাকায় মোট ৮টি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাওয়ার কারণে ৫টি মামলায় মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ৭টি প্রতিষ্ঠানকে এডিস মশার বংশবিস্তার সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে এবং ১টি প্রতিষ্ঠানকে নোটিস প্রদান করা হয়েছে।
অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন ডিএনসিসির ৩১ নং ওয়ার্ডের আসাদ এভিনিউ এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময়ে ৯টি নির্মানাধীন আবাসিক ভবনের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পরিদর্শন করা হলে সেখানে সন্তোষজনক পরিবেশ পাওয়া যায়। তবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ১টি পরিত্যক্ত ভবন সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় তালাবদ্ধ পাওয়া গেলে সংশ্লি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য নোটিস দেয়া হয়।
অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা-১৪ নং সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে প্রায় ৫০টি বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা পরিদর্শন করে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা হয়। ২টি নির্মানাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় কিন্তু ভবন মালিক বা সংশ্লি¬ষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদেরকে নোটিস প্রদান করা হয়েছে এবং এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
অঞ্চল-৭ ও ৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী ৪৫ নং ওয়ার্ডের উত্তরখানের মাজার রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় প্রায় ১৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোন জরিমানা করা হয়নি। তবে এলাকাবাসীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জমা পানি ফেলে দেয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ এবং ১০ এর ৩৭ ও ৪৩ নং ওয়ার্ডের বেশকিছু বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদ মিয়া। এসময়ে জনসাধারণকে এডিস মশার প্রজননস্থল ধংসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব ও জমা পানি ফেলে দেয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়, তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি।
এদিকে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসলিনা পারভীন গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময়ে একাধিক নির্মানাধীন ভবনে প্রচুর ময়লা আবর্জনা ও এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় সেগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয় এবং ২টি নির্মানাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় তাদেরকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযান চলাকালে সকল এলাকাতেই এলাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতন করা হয়। অভিযান চলাকালে সাংবাদিক, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন