বগুড়া অফিস
বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের বানদিঘি গ্রামে সন্ত্রাসীদের আগুনে বাড়ীঘর পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে ৩ মাস যাবত ১৫ পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। মামলা তুলে নিতে আসামিরা বাদিকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আসামীদের হুমকিতে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সকল পরিবারের পুরুষেরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই সুযোগে গত সোমবার রাতে মামলার ১নং আসামি হিরু মিয়া বাদিনীর ভাতিজী রিমা খাতুন (২৫)-কে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশী কয়েকজন মহিলা বাঁধা দিলে হিরু মিয়া ওই গৃহবধূসহ মহিলাদেরকেও বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিত গৃহবধূ রিমা খাতুন বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রিমা খাতুন জানায়, পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এদিকে মহিলাদের মারপিটে আহত করার অভিযোগে একই গ্রামের ফজলু সরদারের স্ত্রী বেবী খাতুন বাদী হয়ে গত বুধবার বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদর উপজেলার বানদিঘি গ্রামের মৃত মকবুল সরদারের ছেলে মিলন সরদারের সাথে একই গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে হিরু মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে গত ৩০ এপ্রিল মিলন সরকার বাড়ীতে না থাকায় হিরু মিয়া, সোহাগ, সামাদ আলী, বাবলু, সবুজ, আরিফ, রবিউল, ইকলাস, বাবু, সাইফুল ও মঞ্জুরুল সহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী মিলন সরকারের বাড়ীতে হামলা করে মহিলাদের মারধর করে ৩১টি বাড়ীতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বানদিঘি গ্রামের মৃত সোলায়মান আলীর স্ত্রী আসমা বেওয়া বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসমা বেওয়া জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে আমি সহ প্রতিবেশী আরো ১৫ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমি আসামীদের গ্রেফতার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বগুড়া সদর থানার (ওসি) আবুল বাশার বলেন, এরুলিয়া বানদিঘি গ্রামের বাড়ী পুড়িয়ে দেওয়ার মামলা সহ দুই পরিবারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। গৃহধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন