ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে যোগাযোগ রাখছে।
সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সাথে দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রমের সমন্বয় ইতোমধ্যে করেছে। নিজস্ব উৎস থেকে ১৮ হাজার ৪০০টি ত্রাণের প্যাকেট তৈরি করেছে এবং ৭১টি ছোট মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ১৪৫টি ছোট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম বিশেষ সরঞ্জামাদিসহ সংক্ষিপ্ত নোটিশে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিমান বাহিনীর সকল এয়ারক্রাফট ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ চিকিৎসা ও উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিমান বাহিনীর এয়ারক্রাফটগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি পরিবহন বিমান ও ২২টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। আইএসপিআর এসব তথ্য জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা অঞ্চলে ২৫টি জাহাজ নিয়ে তৈরি আছে নৌবাহিনী। সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রæততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুলিশের সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। পুলিশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছে। যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অবস্থানের চেষ্টা করুন। যেকোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক বা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন