ঘূর্ণিঝড় ‘আমফানের’ এর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে সিডর ও আইলা অধ্যুষিত বৃহত্তর খুলনাঞ্চলের উপকুলীয় এলাকা। ঝড়ের আঘাতে খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে লক্ষাধিকের বেশি ঘরবাড়ি। ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে বাধ উপচে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা ও মাছের ঘের। এছাড়া হাজার হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে গোটা উপকুলীয়াঞ্চল।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রবল গতিতে খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট সুন্দরবনসহ উপকুলীয়াঞ্চলে আঘাত আনে সুপার সাইক্লোন আমফান। রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আমফানের তান্ডব চলছে।
আমফানের প্রভাবে খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে ৫০ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বাইতে থাকে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অগ্রভাগ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা, মোংলা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আঘাত হেনেছে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টায় মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় ছিল।
বিভিন্ন এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় শত শত গ্রাম তছনছ হয়েছে। ভেঙেছে বসতঘর। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে ভেড়ীবাধসহ মৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আমফানের তান্ডবে খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছাসহ বিভিন্ন উপজেলায় হাজারো ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা বসতঘর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন