শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শরণখোলায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি-১৩০ আশ্রয় কেন্দ্রে ৬০ হাজার মানুষ

ঘুর্ণিঝড় আমফানের প্রভাব

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২০, ৫:২১ পিএম

বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। সকালের জোয়ারে পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৩/১ বেড়িবাঁধের গাবতলা ও রায়েন্দা বাজারের পূর্ব মাথায় উপছে পানি ঢুকে পড়েছে। এরমধ্যে সব চেয়ে ঝুকিপূর্ণ সাউথখালীর গাবতলার বাঁধ সন্ধ্যার জোয়ারে ভেঙ্গে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় প্রায় ৮/১০ গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। 

ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, ঘুর্ণিঝড় আমফান মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সব ধরেণের প্রস্তুতি নিয়েছে। উপজেলা পরিষদসহ চারটি ইউনিয়ন পরিষদে আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ১০৭টি সাইক্লোন শেল্টারের সাথে আরো ২৩টি বিদ্যালয় ভবন সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধী মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করেছে। বলেশ্বরনদী তীরবর্তী সাউথখালী ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বগী, দক্ষিণ সাউথখালী, তাফালবাড়ী, চাল রায়েন্দা, রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর, জিলবুনিয়া, রায়েন্দা বাজার পূর্বমাথা, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর, পূর্ব খোন্তাকাটা এবং ধানসাগর ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর ও পশ্চিম রাজাপুর এলাকার সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের সেচ্ছাসেবকরা আহবাওয়ার সতর্কবার্তা প্রচারের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে সহযোগীতা করছে।
ইউএও জানান, ফায়ার সার্ভিস, সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট, আনসা-ভিডিপি সদস্যদের সমন্বয়ে এক হাজার সেচ্ছাসেবক এবং ১৪টি প্রাথমিক চিকিৎসক দল প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের প্রাথমিক ভাবে চিড়া ও গুড় সরবারহ করা হয়েছে। এছাড়া খাবার পানি ও করোনা স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শরণখোলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় জানান, গভীর সাগরে মাছ ধরারত ফিশিং ট্রলার ও নৌকাসমূহ ইতিমেধ্য উপকূলে ফিরে এসেছে।
কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার জানান, আম্পানের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার ৮৫ হেক্টর জমির বোরো, ৪৫ হেক্টর ভুট্টা, ৫০ হেক্টর মুগ, ১ হেক্টর সূর্যমুখী কর্তন এবং ১০ হেক্টর জমির বাঙ্গি, ২ হেক্টর তরমুজ, ২৫ হেক্টর জমির মিষ্টি আলু উত্তোলন করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন