করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে এবার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সম্ভবত এবারই প্রথম ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসছেন না। করোনাকালীন দীর্ঘ লকডাউনে এখন কক্সবাজার ফাঁকা। হোটেল মোটেল গুলোতে বিরাজ করছে ভূতুড়ে পরিবেশ। এতেকরে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা।
প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজার থাকে লোকে লোকারণ্য। লাখো পর্যটকের ভিড়ে এসময় কক্সবাজার হয়ে উঠে সরগরম। একদিকে এই বিশাল সংখ্যক পর্যটকদের থাকা খাওয়া ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজারের পাঁচতারাকা হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোয় থাকে জমজমাট অবস্থা।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে উঠে। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো পবিত্র রমজান মাস থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকত। কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসছেন না। তাই হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোয় গেইট বন্ধ, জ্বলছেনা বাতিও।
এ প্রসঙ্গে হোটেল মোটেল গেষ্টহাউজ সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউন তো মেনে নিতেই হচ্ছে। তবে ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কোটি টাকার টার্ন ওভার বন্ধ হয়েগেছে। এছাড়াও ৫শ মত হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলো পর্যটন মৌসুমে ৫ শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঈদুল ফিতরের পরে করোনা সংক্রমণ নিরাপত্তা বিষয়ে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোর কর্মচারীদের নিয়ে তারা একটি সেমিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছেন।
হোটেল মোটেল জোন সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পাঁচতারাকা হোটেল সীগাল, সইমান রিসোর্টসহ সব নামীদামী হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ হোটেল গুলোর গেইট বন্ধ। ভেতরে লাইটও জ্বলছেনা।
এদিকে এই দীর্ঘ লকডাউনে কক্সবাজারের হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়েছে শত শত কর্মচারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন