চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা এখন শয্যার আটগুণ। আর তাই যাদের অবস্থা জটিল তারাই হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন। হঠাৎ রোগী বেড়ে গেলেও শয্যা প্রস্তুত না হওয়ায় এ নীতি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
চমেক হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা বলছেন, যাদের শ্বাসকষ্টসহ জটিল অবস্থা তাদের ভর্তি করা হবে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হবে। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩১৮ জন। তাদের মধ্যে হাসপতালে আছেন দেড়শ’ জনের মতো। বাকিরা বাসা বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ১১০ শয্যা, বিআইটিআইডির ৩০ শয্যার সাথে চমেক হাসপাতালের ৩০ শয্যা যোগ হয়েছে। সেখানে একশ’ শয্যা প্রস্তুতের কাজ চলছে। জেনারেল হাসপাতালে আরও ৫০ শয্যা এখনও প্রস্তুত হয়নি।
হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আর তাই যাদের আইসিইউ বা অক্সিজেন সার্পোট প্রয়োজন হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এদিকে উপসর্গ নিয়ে মৃত চারজনসহ আরো ৯০ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নগরীর কোতয়ালী ও বায়েজিদ এলাকার ৫১ ও ৬৫ বছর বয়সী দুই জন বৃহস্পতিবার, ফিরিঙ্গি বাজার ও সাগরিকার ৫০ ও ৪৫ বছর বয়সী দুইজনের মৃত্যু হয় বুধবার। এ নিয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন। গতকাল ৬ জনসহ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৫৩ জন। বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে কতজন সুস্থ হয়েছেন তার কোন হিসাব সিভিল সার্জন অফিসে নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন