দেশে করোনা সংক্রমন যখন দ্রæত গতিতে বেড়ে চলেছে তখন লকডাউন শিথিল করে দেয়া নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার সামিল বলে মন্তব্য করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির এক অনলাইন মিটিংয়ে নেতারা এ মন্তব্য করেন। তারা বলেন, যারা এই পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে লকডাউন শিথিল করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা বাস্তবে জনস্বাস্থ্যের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন।
অনলাইন মিটিংয়ে গৃহীত প্রস্তাবে রাজনৈতিক বিবেচনা পরিহার করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে করোনা মহামারী মোকাবিলার নীতি কৌশল অনুসরণে সরকারের প্রতি আহŸান জানানো হয়। প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় করোনা দুর্যোগেও রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীক গোষ্ঠির কায়েমী স্বার্থান্বেষীরা সরকারের নীতি নির্ধারণে নিয়ামক ভ‚মিকা পালন করছে। এদের নিয়ন্ত্রণ থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে না পারলে বাংলাদেশে করোনা দুর্যোগ কেবল প্রলম্বিতই হবে।
দলের নেতারা বলেন, এশিয়ার মধ্যে করোনা সংক্রমনের হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি। অথচ করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থায় এখনও গুরুতর সমন্বয়হীনতা ও বেহাল দশা বিদ্যমান। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ দূরের কথা সমাজ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও করোনার উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছেন।
নেতারা বলেন, করোনা দুর্যোগে খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় সরকার নতুন করে যে ৫০ লাখ গরীব ও নিম্নআয়ের লোককে অন্তর্ভুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাও অনিয়ম ও দলীয়করণের কারণে নতুন সঙ্কট তৈরি করছে। অধিকাংশ শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষ এখনও তালিকার বাইরে। নেতারা দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল পরিস্থিতির অবসান, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দলবাজি বন্ধ করে ২ কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য ও অর্থ পৌঁছানোর দাবি জানান।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনলাইন মিটিংয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, মাহমুদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম সরদার, রইসউদ্দীন, খলিলুর রহমান, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, ফিরোজ আহমেদ, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন