করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এপ্রিল ও মে মাসে দেশজুড়ে লকডাউন ছিল। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। এরকম পরিস্থিতিতেও গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসের মূল্যস্ফীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে দাবি করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। চলতি বছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার জাতীয় পর্যায়ে ৫ দশমিক ৩৫ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৯৬ ভাগ এবং গত বছরের মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৩ ভাগ। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
অবশ্য পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলেছে, বিশ্বজুড়ে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশেও মে মাসে স্বাভাবিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ কার্যক্রম সামান্য ব্যাহত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আইএসএফের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুসরণ করে মাঠপর্যায়ে হাট/বাজারগুলো থেকে মূল্য ও মজুরিবিষয়ক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। সারাদেশের ৬৪ জেলার ১৪০টি হাট/বাজার থেকে নির্ধারিত সময়ের (মাসের ১২ থেক ১৮ তারিখ) তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।
মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চাল, ডাল (মসুর, মুগ ইত্যাদি), ডিম, শাক-সবজি, মসলা (পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদি) ইত্যাদির মূল্য এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে কমেছে।
গত এক বছরের (২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের মে) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার নিরূপিত হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৬১ ভাগ। এর আগের একই সময়ে (২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের মে) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ। মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মে মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ০৯ ও ৫ দশমিক ৭৫ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৯১ ও ৬ দশমিক ০৪ ভাগ। গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৬৫ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক ০৮ ভাগ। শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৮১ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ ভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন