জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে সরকারের অনুমোদন বিহীন তড়িগড়ি করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করে সম্পূর্ণ করা হয়নি। যা এখন পড়ে আছে অযন্ত অবেহেলায়।
অভিযোগ উঠেছে, এ খাতে টাকা বরাদ্ধ না থাকায় গ্যারেজে পার্কিং এর জন্য বরাদ্ধকৃত ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায় করে অতিঃ উৎসাহিত হয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা স্বার্থ হাসিলের জন্য অসম্পূর্ন এ ম্যুরাল নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের গত ১২ মে তারিখে সদ্য বিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি উক্ত ম্যুরাল নির্মাণের কার্যক্রম স্থগিত করেন। তাহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তিনি সরকারের পূর্ব অনুমতি না নিয়ে কেন অতিঃ উৎসাহিত হয়ে ম্যুরাল নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং তার চিঠিতে অনুমোদন সাপেক্ষে সম্পাদন করার নির্দেশ দেন। বর্তমানে ম্যুরালটি অবহেলিত থাকায় পথচারীরা প্রসাব পায়খানা ও ময়লা আবর্জনা ফেলে অপবিত্র করছে। তবে কি এটি দেখার কেউ নেই ?
জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তার পছন্দের ঠিকাদারকে অতিঃ উৎসাহিত হয়ে কাজটি করার নির্দেশ দিয়েছে। যে কাজের এখনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্র আহ্বান না করেই মন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ার জন্য তিনি কাজটি দিয়েছেন বলে সূত্র দাবী করেন।
সূত্রটি আরো জানিায়, বিভাগীয় কমিশনার স্মারক নং-০৫.৪৫.০০০০.০০৯.২০.০০৪.১৭- তাং-১২/০৫/২০২০ এক চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে ঐতিহাসিক ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠের চর্তুদিকে বাউন্ডারী ওয়াল, ওয়াকওয়ে এবং সৌন্দর্য বর্ধন করার জন্য ৬কোটি ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৮ টাকা ২৯ পয়সা ব্যায় বরাদ্ধ ধরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্তকে একটি পত্র দেন। এ পত্রের প্রেক্ষিতে নির্বাহী প্রকৌশলী ৯ জুন টেন্ডার আহবান করে। যার আইডি নং-৪৬১৬৮৮ গর্ণপূত বিভাগ ময়মনসিংহ। বিষয়টি প্রকাশ হলে সার্কিট হাউজের সৌন্দর্য বর্ধন কার্যক্রম নিয়ে ময়মনসিংহবাসীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সদ্য বিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি তার খোলা চিঠিতে লিখেছেন বিমানবন্দর চলে গেছে কিছু লোকের জন্য সার্কিট হাউজের বান্ডারী ওয়াল হচ্ছে না প্রকল্প গ্রহণ করার পরও ইত্যাদি।
বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজনীতিবিদ এড. শিব্বির আহমদ লিটন তার ফেসবুকে লিখেছেন ময়মনসিংহের প্রাণ সার্কিট হাউজ ময়দান। সৌন্দর্য বৃদ্ধির নামে কারাগার বানাবেন না। অন্য যা কিছু করতে চান করেন।
বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ছড়া কার ইয়াজদানী কোরাইশী তার ফেসবুকে লিখেছেন ৬ফুট উচুর ওয়াল হবে তার পর গ্লীল দিবে তিনটি বড় গেইট ও ছোট পাঁচটি গেইট হবে। অনেকে মন্তব্য করেরেছেন দুশতাধিক বছরের ঐতির্যবাহী ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দান ১৬ একর ভূমির উপর ময়দানটি অবস্থিত। খোলা মেলা জায়গা নিয়ে এবং ভ্রমনপ্রেমীদের সভা সমাবেশ করার জন্য একমাত্র স্থানটি অবরোধ করার অপ্রকৌশল বলে বিশেষজ্ঞগন মন্তব্য করেছেন এবং বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন