উখিয়া ইউএনএইচসিআর-এর অর্থায়নে নির্মিত ১৪৪ বেডের (SARI) শারী আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে (সিভিয়ার একিউট রেস্পিরেটরী ইনফেকশন-আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার) চালু হল কক্সবাজার জেলার প্রথম হাই স্পীড মেডিকেল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (High speed oxygen concentrator)।
বুধবার (৩জুন) ভোরে UNHCR কর্তৃপক্ষ ২টি আধুনিক মডেলের ৫৫টি হাই স্পীড মেডিকেল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর উখিয়ার SARI আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে সরবরাহ করা হয়েছে।
এই আইসোলেশন সেন্টারটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এনজিও রিলিফ (RELIEF) কর্তৃপক্ষ UNHCR থেকে সেগুলো বুঝে নিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
বিষয়টি এনজিও রিলিফ এর কর্মকর্তা কাজী হায়দার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে । তিনি আরো জানান, হাই স্পীড মেডিকেল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর গুলো বুধবার সকাল থেকেই আইসোলেশন সেন্টারে লাগানো শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩জুন) সন্ধ্যা থেকে হাই স্পীড অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা সম্পন্ন ভর্তি থাকা রোগীদের সরবরাহ দেওয়া হবে। হাই স্পীড মেডিকেল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর হচ্ছে-মেডিকেল অক্সিজেন ভেন্টিলেটরের বিকল্প একটি ব্যবস্থা।
আজ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অন্য কোন হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টারে হাই স্পীড মেডিকেল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এর ব্যবস্থা নেই। উখিয়ার SARI আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে ৫৫টি হাই স্পীড মেডিকেল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়ে নিজে নিজে অক্সিজেন নিতে না পারা ৫৫জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে। যা মুমূর্ষু করোনা রোগীদের চিকিৎসায় খুব বেশী প্রয়োজন।
উখিয়ার SARI আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে হাই স্পীড মেডিকেল অক্সিজেন কনসেনট্রেটর স্থাপনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে চিকিৎসা জগতে সম্ভবনার নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হলো বলে মন্তব্য করেছেন জেলার একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
তবে আগে থেকেই প্রত্যেক রোগীর জন্য পৃথক নরমাল অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিলো এ আইসোলেশন সেন্টারে।
রিলিফ এর কর্মকর্তা কাজী হায়দার আরো জানান, গত ২১মে এসএআরআই-আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারটি উদ্বোধন করা হয়। ২৭মে রোগী ভর্তির মাধ্যমে এটি চালু করা হয়।
৩ জুন সকাল পর্যন্ত এই সেন্টারে ২৫জন জটিল করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। যারা সকলেই কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা। এ সেন্টারে এ পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গা শরনার্থী ভর্তি করা হয়নি।
এই আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থাপনাকারী প্রতিষ্ঠান RELIF এর অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ সরকার, UNHCR, RELIF, BRAC সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টা ও বৃহত্তর মানবিক প্রয়াসের এটি অন্যতম একটি অংশ। যা জনসাধারণের মেডিকেল চাহিদা মেটাতে অসাধারণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাসপাতাল নির্মাণ কাজের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত BRAC এর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩৪ টি রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের কারণে এখানে নিয়মিত দেশি-বিদেশি ভিভিআইপি আসা যাওয়া রয়েছে।
তাই এসএআরআই-আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারটিকে ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক মানের আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলা হবে। তিনি আরো জানান, মূলতঃ ১৪৪ বেডের এই হাসপাতালে প্রায় ২শ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো ফ্যাসিলিটি রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন