শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যানবাহন পারাপারে বিড়ম্বনা

চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা মহাসড়ক জোয়ারে ডুবে যাচ্ছে পন্টুন-গ্যাংওয়ে ভাটায় নাব্যতা সঙ্কট

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ফেরি সেক্টরে যানবাহন পারাপারে চরম বিপর্যয়ে সুষ্ঠু সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় সঙ্কট বেশ ঘনীভূত হচ্ছে। উপক‚লীয় ৩টি বিভাগের সংক্ষিপ্ত এ মহাসড়কের ভোলা-লক্ষীপুর এবং ভোলা-বরিশালের মধ্যবর্তী ফেরি সার্ভিস এখন প্রতিদিন ভরা জোয়ারে ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। অপরদিকে মূল মেঘনা থেকে লক্ষীপুরের মজু চৌধুরীরহাট ফেরিঘাট মুখি রহমতখালী চ্যানেলটির মোহনা ভাটার সময় নাব্যতা সঙ্কটে যানবাহন পারপারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

ফলে ভোলা-লক্ষীপুর রুটে প্রতিদিন যে সংখ্যক যানবাহন পারাপার হচ্ছে, তার দ্বিগুনের বেশী অপেক্ষমান থাকছে। ভোলার ইলিশা এবং লক্ষীপুরের মজু চৌধুরীরহাট আর বরিশালের লাহারহাট ফেরিঘাটের ত্রুটিপূর্ণ পন্টুন ও গ্যাংওয়েগুলো বর্ষার এ ভরা জোয়ারে ডুবে যাওয়ায় প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত যানবাহন পারাপার বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ ভোলা ও লক্ষীপুরে নতুন পন্টুন মোতায়েন করলেও তার গ্যাংওয়ে ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় চালু করা সম্ভব হয়নি।

ফলে দেশের দক্ষিণ উপক‚লীয় এ মহাসড়কে বিড়ম্বনা এখন নিত্যদিনের। ইলিশাঘাট ও মজু চৌধুরীরহাট ঘাটের পন্টুনের গ্যাংওয়েগুলো বর্তমান বর্ষা মৌসুমের ভরা জোয়ারে ৩-৫ ফুট পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে। ভরা জোয়ারে ঘাটগুলোতে যানাহন বোঝাই ফেরিগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষমান থাকছে। বর্তমানে ভোলা-লক্ষীপুর সেক্টরে বিআইডব্লিউটিসি’র ‘কলমীলতা, কনকচাঁপা ও কিশানী’ নামের ৩টি কে-টাইপ ফেরি থাকলেও ঘাটের বিড়ম্বনায় ফেরিগুলো তার ক্ষমতানুযায়ী যানবাহন পারাপার করতে পারছেনা। ফলে ২৪ ঘণ্টায় এ সেক্টরে ২শ’ যানবাহন পারাপারের পরে আরো অন্তত ৪শ’ মেঘনার দু’প্রান্তে অপেক্ষমান থাকায় চট্টগ্রাম থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাককে বরিশালে পৌঁছতেই ৩ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অথচ চট্টগ্রাম থেকে লক্ষীপুর-ভোলা হয়ে বরিশাল ও খুলনা/মংলার দূরত্ব চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের চেয়ে অর্ধেকেরও কম।

অপরদিকে ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তী ভেভদুরিয়া-লাহারহাট রুটের লাহারহাট ঘাটের পন্টুনও ভরা জোয়ারে ঘাটের চেয়ে ওপরে ওঠে যাওয়ায় যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ ঘাটের পন্টুন বিআইডব্লিউটিসি তার ইউটিলিটি টাইপ ফেরির সাথে তৈরি করলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে তা ঘাটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। লক্ষীপুরে রহমতখালী চানেলের মোহনায় গত কয়েক বছর ধরেই শীত মৌসুমে ড্রেজিং করা হলেও তা কয়েক মাসের মধ্যেই নাব্যতা হারাচ্ছে। ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ ফেরি সেক্টরসহ নৌপথটি চরম ঝুঁকিতে পড়ছে। বর্তমান ভরা বর্ষায়ও নাব্যতা সঙ্কটে ভাটার সময় রহমতখালি চ্যানের কোন নৌযান প্রবেশ করতে পারছে না।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশাল ও ভোলার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ‘বিষয়গুলো সংস্থার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যা সমাধানে উভয় দপ্তরই চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন