সকাল থেকে সারাদিন বিমানবন্দর-গাজীপুর সড়কে থেমে থেমে যানজট দেখা গেছে। গণপরিবহনে চলাচলরত যাত্রীদের গাড়িকেই বেশকিছুক্ষণ সময় ব্যয় করতে হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে এই সড়কে সীমিত পরিমাণ যানবাহন চলচলের ব্যবস্থা থাকলে যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিকালে অফিস ছুটির পর এমনিতেই যানজট বেশি থাকে সেসময় রাস্তা চলাচলের জন্য সীমিত করা হলে দুর্ভোগে পড়বে সাধারণ মানুষ।
এদিকে, যান চলাচল স্থায়ীভাবে নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান রাখার কারণে জনসাধারণের জন্য এ বিশেষ ট্রাফিক নির্দশনা জারি করেছে বিআরটি। বিআরটির প্রকল্প পরিচালক এ, এস, এম, ইলিয়াস শাহ্ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকবে। এজন্য যানজট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ওই করিডোরে চলাচলরত জনসাধারণ ও পরিবহনকে সম্ভাব্য বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সবার সহানুভূতি এবং সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।
কিন্তু নির্দেশিত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জনসাধারনের ব্যবহারের জন্য বিকল্প পথের কথা বলা হলেও বিকল্প পথের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এনিয়ে সাধারণ জনগণের মাঝে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেকেই বলছেন, বিমানবন্দর-গাজীপুর সড়কেই কোনো বিকল্প সড়ক হতে পাড়ে না। কারণে হিসেবে দেখিয়েছেন দৈনিক লাখ লাখ মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে। হাজার হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে। এসব গাড়ি অন্যকোনো বিকল্প পথে চলাচল করা সম্ভব হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন