যানবাহনের বেপোরোয়া গতির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ৯৭ কিলোমিটার অংশে এবং আঞ্চলিক সড়কেও বেড়েছে দুর্ঘটনা। এবছরের জুলাই মাসে কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। আহত হয়েছে আরো অর্ধশত। হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তাদের মতে চালকের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই মূলত এ দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে কমপক্ষে ২০ হাজার যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। এরমধ্যে মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে ফেনির মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত প্রায় ৩৫টি দুর্ঘটনা প্রবণ স্থান রয়েছে। এসব স্থানেই বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
গত জুলাই মাসে কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করা ঘটনার মধ্যে ১ জুলাই ব্রাহ্মণপাড়ায় নিহত হয়েছেন ১ জন। এরমধ্যে ৬ জুলাই দাউদকান্দিতে মাইক্রোবাস চাপায় ২, ৮ জুলাই কুমিল্লা পৃথক দুর্ঘটনায় ৩, ৯ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ঈদের ছুটিতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। এছাড়া ঈদের ছুটি শেষে ১৫ জুলাই জেলার দাউদকান্দি ও বুড়িচংয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২, ১৮ জুলাই বরুড়ায় ১, ১৯ জুলাই লাকসাম-বুড়িচংয়ে ২ এবং ২০ জুলাই বুড়িচংয়ে ১ জন মারা যান। অপরদিকে ২১ জুলাই দেবিদ্বারে ৩ এবং চান্দিনায় ১ জন মৃত্যু বরণ করেন। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেবিদ্বার এলাকায় একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানবাহনের অতিরিক্ত গতি এবং পথচারীদের অসচেতনতার কারণেই এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন