শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : বিপথগামীদের সঠিক পথে আনুন

প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এ মুহূর্তে একটি বিশ্বজনীন সমস্যা। এই ঘৃণ্য আপদ বিশ্বশান্তির জন্য ইতিমধ্যে বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর অপচর্চা বেশ কিছু দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও তা বিসম্বাদ সৃষ্টি করে চলেছে। বাংলাদেশ প্রথম থেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এই জঘন্য আপদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রাসঙ্গিকতাকে স্বীকার করে বিশ্বসম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলো অস্তিত্ব সংকটে আছে। তাদের কর্মকা- নিষিদ্ধ। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোও অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক মতপার্থক্যের সুযোগ নিয়ে সংগঠিত হয়ে তারা সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যখন একটি রাজনৈতিক পক্ষ সরকারকে নিজেদের প্রতিপক্ষ মনে করছে তখন জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান আরো সহজ হয়।
এ অবস্থায় সরকারকেই দায়িত্বশীল ও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে গোয়েন্দা বিভাগকে। জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সংগঠিত হওয়ার আগেই তাদের নিষ্ক্রিয় করতে হবে। জঙ্গিদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ভেঙ্গে দিতে পারলে তাদের মনোবলও ভেঙ্গে যাবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দিক থেকেও নানা কার্যক্রম নিয়ে জঙ্গি উত্থানের সম্ভাবনা নস্যাৎ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। ব্যবহার করতে হবে মিডিয়াকেও। গড়ে তুলতে হবে জনসচেতনতা। জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে পারলে জঙ্গিবাদ কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এ ব্যাপারে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকেও কাজে লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে সরকার ও রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা গেলে জঙ্গি সংগঠনগুলো তৃণমূল পর্যায়েই কার্যকারিতা হারাবে।
জননিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জঙ্গি উত্থান রুখতে হবে। আমরা আশা করবো, সরকার এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো অপশক্তি দমনে পিছপা হবে না।
আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে; রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রেরও অভাব। তাদের কারো কারো সততা প্রশ্নবিদ্ধ। জঙ্গিবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল উপাদানের অস্তিত্ব থাকাও অস্বাভাবিক নয়। জঙ্গিবাদের প্রসারে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক যেসব অপশক্তি ভূমিকা রাখে সেগুলোতে আঘাত হানতে হবে।
ডক্টর শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম
কোর্ট ও সভাপতি, সাউথ এশিয়ান
ল’ ইয়ার্স ফোরাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন