ফরিদপুর সদর উপজেলার আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা (অব.) সেনা বাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিয়ারত হোসেন নির্যাতনের শিকার হওয়ার ৫ বছর পর গত ১৪ জুলাই আদালতে ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালীরা গজারিয়া এলাকার জিয়ারত হোসেনের জমি ও মার্কেটের ১০টি দোকান দখল করে নেন। জিয়ারত প্রতিবাদ করায় তাকে পিটিয়ে জখম করে ২০১৫ সালে এবং জিয়ারতকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন। জিয়ারত হোসেন এলাকা ছেড়ে সপরিবারে ঢাকায় গিয়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি অভিযানে বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ ও ভ‚মি দস্যু গ্রেফতার হয়। তাদের মধ্যে জিয়ারতের জমি দোকান দখলকারী নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও রয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন শাহজাহান বিশ্বাস, আফজাল মোল্লা, জিল্লুর রহমান টুটুল, মাঈনুদ্দিন আহম্মেদ মানু, জাহাঙ্গীর খলিফা ও ভগীরত সাহা। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য ফরিদপুরের ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জব্বার জানান, জিয়ারতের মামলার তদন্ত চলছে এখনও শেষ হয় নাই। মামলার প্রধান আসামি শাহজাহান বিশ্বাস জানান, জমির ওয়ারিশ ৪ জন। ওই সম্পত্তির অংশ ক্রয় করেছি আমার স্ত্রীর ও শ্যালকের অংশসহ জিয়ারত হোসেন দখল করে নেন, আমি ওই সম্পত্তির দখল নিয়েছি। জিয়ারতের কোন জমি দখল করি নাই।
আলীয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ডাবলু জানান, ওই জমির বিষয়ে একটি শালিস হয়েছিল। যতটুকু জানি ওই শালিসে কোন সমাধান হয় নাই তবে শাহজাহান বিশ্বাসও জমি ক্রয় করেছে। মামলার বাদী জিয়ারত হোসেন জানান, জমি দখল নেবার জন্য আমার বিরুদ্ধে দুইটি ডাকাতির পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার করানো হয়েছিল, ৪৪ দিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে এসেছি। জেল খানা থেকে এসে দেখি দোকান ঘরসহ ৬৬ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন