যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ইতোমধ্যে অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গেছে। এখন আইনগত বিষয় বাকি।
পুলিশ সুপারের প্রেসব্রিফিং, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য উপাত্ত, সমাজসেবা অধিদপ্তরের দুই সদস্যের কমিটির তদন্ত রিপোর্ট এবং বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ততথ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শায়েস্তা করার নামে ঠান্ডা মাথায় পৈশাচিক নির্যাতন করে চার দেয়ালের মাঝে আটক অসহায় তিন কিশোরকে হত্যা করা হয়।
‘বাঁচাও বাঁচাও’ আর্ত চিৎকার হত্যাকারীদের হৃদয় টলেনি। পিটাতে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা ছাড়াও ঘটনাস্থলে আরো অনেকে ছিলেন কিন্তু কেউই প্রতিবাদ করেননি বা কিশোরদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি। অজ্ঞান হওয়ার পরও জ্ঞান ফিরলে আবার মুখে গামছা গুজে, হাত, পা বেধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন বাকি শুধু আইনী প্রক্রিয়া যেমন মামলার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল ও বিচার কার্যক্রম। তদন্ত সূত্র বলছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। ইতোমধ্যে আদালতের অনুমতি পেয়েছে কমিটি। ৩ দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দিয়েছেন আদালত। শিশু কেন্দ্রের সহকারি পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ রোকিবুজ্জামান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন