দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে গত ১০ মাস ধরে পরিচালক বিহীনভাবে চলছে বন্দরের কার্যক্রম। ফলে চরম অব্যবস্থাপনায় চলছে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম। বন্দরে কর্মরত একজন উপ-পরিচালককে দিয়ে চালানো হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
যে কোনো ব্যাপারে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি নিতে হয়। ওখান থেকে দিক নির্দেশনা পাওয়ার পর বন্দরে শুরু হয় কার্যক্রম।
বেনাপোল বন্দরকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় আনার পর ১৯ বছরে ১৩ জন পরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন। আর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেছেন ২ জন উপ-পরিচালক ৪ বার। উপসচিব মর্যাদায় এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর ৪ মাস কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে বদলির তোড়জোড় করতে থাকেন কর্মকর্তারা। ফলে কেউ আসতে চান না এ বন্দরে। আবার কেউ আসলেও ৪ মাস, ৬ মাস বা এক-দেড় বছর থাকার পর তদবির করে চলে যান ঢাকায়।
প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়ে থাকে যা থেকে সরকারের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি বছর প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি হয়।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের রফতানি হয়েছিল চার লাখ এক হাজার ১৭৭ মেট্রিক টন পণ্য। করোনার মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রফতানি হয়েছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৮২৯ মেট্রিক টন পণ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, প্রতিবছর এই বন্দর থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে সরকার। কিন্তু এখানে দীর্ঘদিন ধরে অবকাঠামোর চিত্র বেহাল। ফলে পণ্য খালাসে বিলম্ব ও অর্থনৈতিক ক্ষতিতে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখানে যারা দায়িত্ব পালন করেন তাদের হাতে দাফতরিক ক্ষমতাও কম।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়রম্যানের নির্দেশ ছাড়া বেনাপোল বন্দরে কোন কিছু কার্যকর করা সম্ভব হয় না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন