ভুয়া সংবাদ রোধ করতে স্ব-নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা গ্রহণে নীতিমালা সাক্ষরের ২ বছর পরে, এখন ফেসবুক, অ্যালফাবেটসের গুগল, টুইটার এবং অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ধরণের বিষয় নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হতে হবে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাদের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছে
ইউরোপীয় কমিশন।
কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুয়া সংবাদের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপরে এই ধরণের সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য চাপ আরও বেড়েছে। ২০১৮ সালে ভুয়া সংবাদ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য মজিলা এবং বিজ্ঞাপনের শিল্পে জড়িত সংস্থাগুলোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একটি নীতিমালা সাক্ষর করে। মাইক্রোসফ্ট এবং টিকটকও পরবর্তীকালে এই দলে যোগ দেয়। ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, এই নীতিমালাগুলো পরিচালনা করা শুরু হওয়ার পরে, প্রথম বছর শেষে করা মূল্যায়নে দেখা গেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি ত্রুটি রয়েছে। এগুলি চারটি বিস্তৃত বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। সেগুলো হলো, প্ল্যাটফর্ম ভেদে এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নীতিমালাগুলোর অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ প্রয়োগ, সমস্যা নির্ধারণে অভিন্ন সংজ্ঞার অভাব, নীতিমালায় বর্ণিত ধারাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ফাঁক থেকে যাওয়া এবং স্ব-নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র অস্তিত্বের সীমাবদ্ধতা।
মূল্যবোধ ও স্বচ্ছতার জন্য নতুন ঝুঁকি মোকাবেলায় আরও পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের সহ-সভাপতি ভেরা জোরোভা বলেন, ‘আমরা এখন নতুন হুমকী ও এর পেছনের ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ করছি। ফলে, নতুন পদক্ষেপ নেয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও জবাবদিহিতার আওতায় আসা এবং স্বচ্ছ হওয়া দরকার। তাদের উচিত, একে অপরের সাথে আরও তথ্য বিনিময় করা এবং অন্যকে তথ্য নিতে দেয়া।’ জোরোভা বর্তমানে গণতন্ত্রকে ডিজিটাল হুমকির প্রতি আরও শক্তিশারী করার জন্য একটি ইউরোপীয় ডেমোক্রেসি অ্যাকশন প্ল্যানে কাজ করছেন।
ইউরোপীয় কমিশন চলতি বছরের শেষ নাগাদ ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’ নামে নতুন বিধিমালা প্রস্তাব করতে যাচ্ছে। এটি নিজেদের প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত বিষয়গুলোগুলোর প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে তুলবে। সূত্র: ইউকে রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন