লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকা, করোনাভাইরাসের চিকিৎসা ও নমুনা পরীক্ষায় নানা ধরনের অনিয়ম-প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্টের মূল কার্যালয়সহ হাসপাতালের দু’টি শাখা সিলগালা করা হয়েছে। হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মঙ্গলবার র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম রিজেন্ট হাসপাতাল সিলগালা করা এবং মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর এটি নিয়ে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।
সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ এ বিষয়ে তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘ভদ্রলোক আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রিজেন্ট হসপিটাল অগ্রণী ভূমিকা রাখায় একাধিকবার তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তার বিভিন্ন পোস্টে প্রশংসামূলক কমেন্ট করেছি। কিন্তু এত বড় বাটপারি জানার পর এখন নিজেই অপরাধবোধে ভুগছি। সে এমন অন্যায় করেছে যে, সারা বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টেস্টে হাসপাতালগুলোর রিপোর্টের বিশ্বস্ততা নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহের অবকাশ সৃষ্টি করে দিয়েছে। ইচ্ছে করছে, ওর হাত পা বেঁধে ভিমরুলের চাক এর মধ্যে ছেড়ে দিতে।’
এমডি জনি শেখ লিখেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। স্যার আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ হায়াত ও সুস্হ রাখুন।’
একে আজাদ চৌধুরী লিখেন, ‘ঢাকার সবগুলো হাসপাতাল এভাবে তদারকি করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
শাস্তির দাবি জানিয়ে তুষার হক লিখেন, ‘এই হসপিটালের ডা. আর সকল সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হোক। শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
আনিসুর রহমান লিখেন, ‘সরোয়ার স্যার স্যালুট আপনাকে, উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
বিস্ময় প্রকাশ করে শান্তা আক্তার লিখেন, ‘এমন মহামারীর মধ্যেও তারা এরকম কাজ করতে পারলো, সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন