টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বেশির ভাগ সড়ক ও অলিগলি আবারও ডুবেছে পানির নিচে। কোথাও হাঁটু ও কোথাও কোমর সমান পানিতে বিঘ্ন ঘটছে স্বাভাবিক চলাচলে। মানুষের এই চরম দুর্ভোগের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান নেটিজেনরা।
বছর জুড়ে সড়কে বিভিন্ন সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ি চললেও পানিবদ্ধতা সমস্যার নিরসন হয়নি। সামান্য বৃষ্টির পানিতেই নাকাল হয় নগরবাসী। বরাবরের মতো ফেসবুকে এসব দুর্ভোগ তুলে ধরে চরম ক্ষোভ জানাচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা।
ফেসবুকে জাহিদ হাসান লিখেছেন, প্রতিবছরই এমন হবে, প্রতিবারই মিটিং হবে, সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণী শোনানো হবে। টাকা ছাড় হবে কিন্তু প্রকল্প হবে না। তবে হ্যাঁ, ফেসবুকে বড় কথা বলা ব্যক্তিটিও গাড়ি থেকে পেট বোতল বা বাস থেকে চিপ্সের প্যাকেট, পলিথিন ফেলবেন।’’
আবির চৌধুরী লিখেছেন,‘‘আমাকে সবাই পরামর্শ দেয়- এসব উপভোগ করতে। কারণ, এগুলি সমাধানের কোন পথ নেই। আসুন, সবাই মিলে সিজনাল ওয়াটার পার্ক উপভোগ করি।..দুর্নীতির জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত/স্বনিয়ন্ত্রিত এলিট এনকাউন্টার টাস্কফোর্স গঠন করে মাঠে ছেড়ে দিলেই একবছরের মাথায় বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়ে যাবে। সব সমস্যা পিছনে নিয়ে গেলে দুর্নীতিতে গিয়ে ঠেকে।’’
রাইহান করিম লিখেছেন, ‘‘সরকারের ১২ বছরের উন্নয়ন দু’চার দিনের বৃষ্টিতেই কেন ডুবে যাবে? জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন নগরের পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া! মুখে মুখে আর বিলবোর্ডে উন্নয়নের কথা বলে কি লাভ যদি জনগণ ও নগরবাসির দুর্ভোগ না কমে?
সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্ধ দেন অথচ দু’চার দিনের বৃষ্টিতেই নগরের সড়কগুলো ডুবে তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়!’’
বসিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশের জেলা শহরগুলির নদীনালা, খালবিল সব তো মানুষের দখলে, পানি রাস্তায় আর ঘরে ঢুকবে না তো কি চাদে যাবে? খালের, ড্রেনের উপরে, নীচে ঘর, দোকান, ময়লা দিয়ে ভরে ফেলছে। মানুষ বাড়ছে তো বাড়ছে নিয়ন্ত্রণহীন।’’
বেলি রহমান লিখেছেন, ‘‘পানিই জীবন আবার পানিই মরণ। বিশুদ্ধ পানি যেমন জীবন বাঁচায় আবার বর্ষার বৃষ্টির জমে যাওয়া পানি বিপন্ন করে মানুষের জীবনকে। স্বস্তির জীবন মানুষের আর হলোনা।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন