শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শয়তানের পেছনে সময় কম দিয়ে মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে

ভাষ্যকার | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২২, ১২:০২ এএম

সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশে মুদ্রাস্ফীতি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দামের ঊর্দ্ধগতি। পাহাড়ি ঢল বন্যা ও দুর্যোগে মানুষের অবস্থা বড়ই বেহাল। পাশাপাশি কথিত গণ তদন্ত কমিশনের দেশ বিরোধী, চরম সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর ঔদ্ধত্যের পক্ষে বিপক্ষে টিভি ও অনলাইন টকশোর সয়লাব। মনে হয় ইচ্ছাকৃতভাবেই কেউ বিষয়টিকে প্রোপাগান্ডায় নিয়ে এসেছে। যে সে ডাকলেই শামছুদ্দিন আহমদ মানিক ও তুরিন আফরোজ টকশোতে যোগ দিচ্ছেন। নিয়মিত গালাগাল শুনছেন। মনে হয়, কারো চাকরি করেন তাই কিছু করার নেই। সকাল সন্ধ্যা গণধিক্কারের মুখোমুখি হতে বাধ্য।

কিছু আলোচক, কিছু আলেম দাওয়াত করা হয় আর তারা এই বাজে বিষয়টি নিয়ে খুব বিতর্ক করেন। চিন্তা করলে মনে হবে, দেশে আর কোনো ইস্যু নেই। ইতোমধ্যে আবার এনায়েতউল্লাহ আব্বাসী সাহেবের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম একটি সাইবার অপরাধ মামলা করে ফেলেছে। তিনি নাকি ভাষাগত একটি বিশ্লেষণে আইন লঙ্ঘন করে ফেলেছেন। আইনের বিষয় আইন দেখবে। তবে, কঠিন ধারার কোনো মামলা মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিতে পারে। রাজনৈতিক নিপীড়নেরও অস্ত্র হতে পারে।

আরেক চ্যানেল বিদেশে বসে তুরিন আফরোজের মায়ের সাক্ষাৎকার ছেড়েছে। এখানে তার মা মেয়ের মারাত্মক নীতিহীনতার রূপ ও অমানবিকতার বর্ণনা দিয়েছেন। হিন্দু মহাসভার বড় এক নেতা এই কমিটির কাজকে নিন্দা জানিয়ে লাইভে এসেছেন। তিনি যা বলেছেন, তার সারমর্ম দাড়ায়, দেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এরা তদন্ত কমিটি করে না। আলেম ও মাদরাসার বিরুদ্ধেও তদন্ত কমিটি করতো না, যদি মোটা অংকের টাকা না পেত। বিশাল ফান্ডের ব্যবহার বৈধ করার জন্য এরা দায়সারা একটি তদন্ত করেছে। যা ভুলে ভরা। দু’য়েকজন আলেম বক্তৃতায় কোনো বেআইনি কথা বলে থাকলে, সাথে সাথে মামলা করা যেত।

ঢালাওভাবে ১১৬ জন আলেম ও এক হাজার মাদরাসার হাজারো আলেম ও লাখো ভক্তকে ক্ষ্যাপিয়ে তারা দেশে একটি ঝামেলা বাধাতে চায়। আলেমমাত্রই সাম্প্রদায়িক না। তারা হিন্দুদের কোনো ক্ষতি করেন না। ব্যক্তিগতভাবে কেউ করলে, এর জন্য আইন আছে। সবকিছুর জন্য সরকার আছে। এদেরকে তদন্ত করতে কে বলল। প্রাপ্ত টাকা হালাল করার জন্য এরা এমন বাজে কাজ করেছে। আমরা দেখেছি, অসাম্প্রদায়িক দাবি করা অনেক লোকেরা হিন্দুদের বেশি ক্ষতি করে।

তিনি ঘাদানিকের এক নেতাকে পাকবাহিনীর মুরগী সাপ্লাইকারী, এক নেতাকে মুক্তিযোদ্ধা জাল সনদধারী, দেশে বিদেশে উৎস অজ্ঞাত সম্পদের মালিক, আরেকজনকে নষ্টা ভ্রষ্টা দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃতা ইত্যাদি বিভিন্ন মানুষের বক্তব্যের রেফারেন্স টেনে বলেছেন, এই কমিটির বহু লোকজনের নামে বাজারে অনেক গল্প চালু আছে। মাদরাসা ও আলেমদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আর কোনো আস্থাভাজন লোক কি পাওয়া গেল না?

এটিএন বাংলায় মানি লন্ডারিং নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না জানা, হেলিকপ্টারে চলাচল, মাদরাসায় দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে মানিক সাহেবকে এক আলেম তুলোধুনো করেন, যা ছিল বড়ই নির্মম। বলা হয়, আলেমদের মানুষ নিজেদের টাকায় ভালোবেসে হেলিকপ্টারে করে নেয়, মানিক সাহেবকে তো রিকশায়ও নেবে না। তাছাড়া, অনিয়ম দুর্নীতি জাল সনদ নৈতিক অপরাধের তকমা পাওয়া লোকজন কীভাবে ধর্মীয় অঙ্গনে অসাংবিধানিক উপায়ে তদন্তের নামে সাম্প্রদায়িক ঘৃনা ছড়ানোর কাজ করতে পারে, এমন প্রশ্নও তোলা হয়।

তুরিন ও শামসুদ্দিন মানিক জনগণের দ্বারা ধিকৃত হয়েও রীতিমত টকশোতে হাজির হচ্ছেন। মানিক সাহেব দুয়েকটি টক শোতে অকারণে মেজাজ হারাচ্ছেন। গত বুধবার একটি চ্যানেলে উপস্থিত হলেও তিনি একজন আলেমের নাম শুনেই টক শো না করে চলে যান। কর্তৃপক্ষকে বলেন, কমিটি এখানে ডিবেট করার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যদিও একই সময় তুরিন আফরোজ অন্য এক নিউজপোর্টালে একদল আলেমের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছিলেন। মনে হয়, এই খেলাটি যারা জুড়েছে তারা এটি নিয়ে পানি আরও ঘোলা করবে। দেশ জাতি সরকার ও রাষ্ট্রকে এসব অস্বাভাবিক ভূমিকা নেওয়া লোকেদের ক্রিয়াকলাপ থেকে সাবধানে থাকতে হবে।

সোশাল মিডিয়ায় একটি বিষয় মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে। সিলেট ও আশেপাশের এলাকায় পানিবন্দী মানুষের ঘরে আলেম ইমাম ও মাদরাসার ছাত্ররা সাঁতরে গিয়ে খাবার ও জরুরি সামগ্রি পৌঁছে দিচ্ছে। বৃহত্তর সিলেটে মাদরাসা শিক্ষিত, আলেম ও পীরের মুরিদগণ বর্তমানে যারা জনপ্রতিনিধি তারা নিজে পানি ভেঙ্গে মানুষের দ্বারে দ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।

দেশের দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় বিশেষকরে ভাটি অঞ্চলে মাদরাসাগুলো অসহায় মানুষের জন্য খোলা। কোথাও দিনে একবার ডাল চাল তরকারী একসাথে দিয়ে লাবড়া রান্না হচ্ছে। তারা অনেকে চুলা জ্বালাতে পারেন না, তারা নৌকায় বা পানি ভেঙ্গে মাদরাসায় এসে এসব নিচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পীর মাশায়েখের দরবার, মসজিদ মাদরাসা ও আলেমগণের মাধ্যমে আমাদের কাছে খবর আসছে যে, দুর্যোগের এ সময় আরও শতগুণ সাহায্যের প্রয়োজন।

বড় বড় দরবার, খানকাহ, বিখ্যাত মাদরাসা, মসজিদ কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের জন্য কল্যানের হাত এই মুহূর্তে প্রসারিত করা। জুমার নামাজে ওয়ায়েজ, আলেম ও মাদরাসাবিরোধী সংবিধানবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করার সাথে সাথে দেশবিরোধী সব কুলাঙ্গারের চরম বেয়াদবীর ব্যাপারে দেশের মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি বেশি করে দান সদকা, ত্রাণ, সাহায্য চালু করার বয়ান দিতে হবে।

দেশের ৪ লাখ মসজিদ যেন দুর্যোগের সময় বিপদগ্রস্ত মানুষের শান্তনার জায়গা হয়। মাদরাসাগুলো যেন হয় দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল। যদিও ছোট ছোট হাজারও মাদরাসা নিজেই দুঃখী মানুষে ভরা। পিতৃহীন, দুর্বল, দরিদ্র, অসহায় ছাত্ররা এবং নিঃসহায় আলেমরা দুর্যোগের সময় নিজেরাই খেয়ে না খেয়ে থাকেন। সুবিধা মতো অন্যের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়ান। এদেশের চরম দরিদ্র মানুষও যথাসাধ্য দান সদকা করে। সে সময় সমাজের স্বাভাবিক মানুষ বা বিত্তশালীরা যদি মাদরাসায় লঙ্গরখানা খুলেন তাহলে কর্মশক্তি ফ্রিতে পাবেন। আর মাদরাসাওয়ালারা এসব দানের ব্যবস্থাপনাকালে এলাকার নিঃস্ব অসহায়দের সাথে নিজেদের খাবারগুলোও ভাগ করে খাবে।

নবী করিম (সা.) বলেছেন, দু’জনের খাবার তিনজনের, তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট। তিনি আরও বলেন, দুনিয়াবাসীর উপর দয়া কর। উপর থেকে আল্লাহ তোমাকে দয়া করবেন। আল্লাহর রাসূল (সা.) ধনী গরিব সবাইকে বলেছেন, তুমি একটি খেজুর বা সামান্য একটু খাদ্য দান করে হলেও নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। কোরআন শরীফে আল্লাহ বলেছেন, সবচেয়ে কঠিন সাধনা হচ্ছে, অভাব ও দুর্যোগের দিনে ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার দেওয়া।

আল্লাহর নবী এবং তার খলিফাগণ রাষ্ট্র পরিচালনার সময় নাগরিকদের ভুখা রেখে নিজেরা খাবার খাননি। ইসলাম প্রচারক ওলী দরবেশগণেরও একই নীতি ছিল। দেশের লাখো মসজিদের স্বচ্ছল মুসল্লী, বড় মাদরাসাগুলোর সক্ষম আলেম, ওয়াজের ময়দানে বিত্তশালী বক্তা ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠিত দরবারসমূহের সামর্থবান পীর মাশায়েখগণ দুর্যোগের সময় মানুষের কাছাকাছি গিয়ে তাদের দুঃখ কষ্ট লাঘব করার অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখবেন এটাই আজকের প্রত্যাশা।

হাজার বছর ধরে সৃষ্টির সেবা, দেশপ্রেম ও জনকল্যাণের দ্বারাই তারা বাংলার মানুষের নয়নের মনি হয়ে আছেন। শত বছরেও দেশি বিদেশী কুকুরেরা হাজার ঘেউ ঘেউ করেও তাদের এই উজ্জ্বলতাকে ম্লান করতে পারেনি। বাংলাদেশে কমবেশি ৭০০ বছর মুসলিম শাসন ছিল। দেড় হাজার বছর ধরে ইসলামী সমাজ ও সংস্কৃতি রয়েছে। যার মূল শক্তি ছিল আল্লাহর উপর বিশ্বাস, রাসূল ও সাহাবীগণের পরম মানবিক শিক্ষা, ওলী আউলিয়া, ধর্মপ্রচারক, ওয়ায়েজ ও উলামা মাশায়েখের নজিরবিহীন জনকল্যাণ, জনসংযোগ ও অফুরন্ত মায়া মমতা। আলেমগণ বর্তমানে এই অপপ্রচার ও অপবাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কান্নাকাটি নালিশ এবং সাধ্য পরিমাণ চেষ্টার পাশাপাশি মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করুন।

নবী করিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহ ততক্ষণ তার বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ সে তার অপর ভাইয়ের সাহায্যে লেগে থাকে। মানুষ ও জিন শয়তানের পেছনে সময় কম দিয়ে আপনারা জনগণের দুঃখের দিনে তাদের আরও কাছাকাছি চলে যান। আল্লাহর গায়েবি ও কুদরতি মদদ আপনারা লাভ করবেন। বিজয় ইসলামেরই হবে। আপনাদের কার্যক্রম মানুষ দেখুক। জনগণ এটিও দেখুক যে, বিদেশী দালাল, ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী সা¤প্রদায়িক অপশক্তি ও ঘৃণা বিদ্বেষের ব্যাপারীরা বাংলাদেশকে আসলে ভালোবাসে না।

অন্য জায়গার খুদকুঁড়া ও ভিনদেশের এঁটোকাঁটা খাওয়া বাজে চরিত্রের কিছু মানুষ কোনোদিন গণ মানুষের কল্যাণ চায় না। তারা স্বাধীন সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ স্বদেশের সর্বনাশ করতে পারে নির্দ্বিধায়। এরা নাস্তিক্যবাদী ধর্মবিদ্বেষী বর্ণবাদী সাম্প্রদায়িক অমানুষ। স্বজাতির গাদ্দার। যুগে যুগে দেশে দেশে এরা জন্ম নিয়ে জাতির সওদা করে এবং কাজ শেষে প্রভুরা তাদের ব্যবহৃত টয়লেট পেপারের মতোই ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

পৃথিবীর ইতিহাসে জাতির গাদ্দারদের পরিণতির চ্যাপটারগুলো সবারই পড়া উচিত। এদেশেও দুটি পয়সার জন্য, বিদেশে বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা ও আশ্রয়ের জন্য কিছু লোক লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা, জন্মভূমি সবই বদলাতে রাজি হতে পারে। কারণ সামান্য স্বার্থে ওরা ওদের ঈমান ও দেশমাতৃকা বিক্রি করতে পারে। ওরা নিজেরা থাকে আপদমস্তক দুর্নীতি, মিথ্যাচার, গাদ্দারী ও দুইনম্বরীতে নিমজ্জিত। সকলের দোয়া করা উচিত, যেন বাংলাদেশে এমন কোনো হতভাগার অস্তিত্ব না থাকে। এমন কেউ যেন জন্মও না নেয়।
আলেম উলামাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য ও রাজনীতি করার সুযোগে অর্থ সম্পদ অর্জনকারী মানুষকেও বলবো, নিজের উপার্জন থেকে বেঁচে থাকতে মানুষের জন্য কিছু করুন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সম্পদ কেউ কবরে নিয়ে যাবে না। নিয়ে যাবে শুধু বদনাম। বদনাম হলেও এই ক্ষতি পুষানো যায় কিন্তু পরকালে জাহান্নামের আজাব বড়ই কঠিন। জাহান্নামে যাওয়া মানুষদের যখন জিজ্ঞেস করা হবে, কেন তুমি জাহান্নামে এসেছো? তখন তারা বলবে, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করে নামাজ বন্দেগি করতাম না। আর অভাবী মানুষকে খাবার খেতে দিতাম না।

সুতরাং দুনিয়াতে আজ যারা দুর্নীতি করে, মজুদদারী করে, কৃত্রিম খাদ্য সঙ্কট তৈরি করে, সুযোগে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মারাত্মক পাপ ও অন্যায় করছে, আখেরাতে তারা এর কী জবাব দেবে। মৃত্যুর পর মানুষ বলবে, আল্লাহ আমাকে দুনিয়ায় আবার ফেরত পাঠান অথবা মৃত্যুর সময় হলে আজাব দেখা মাত্র আল্লাহকে বলবে, আল্লাহ আমাকে আর কিছুটা সময় দিন, আমি জমাকৃত সম্পদ দান সদকা করে আসি। খারাপ কাজ ছেড়ে ভালো মানুষ হয়ে আসি। কিন্তু তাদের এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট সময়েই প্রত্যেকের মরণ চলে আসবে। এক মুহূর্তও আগ পিছ করা হবে না। তওবা করে ও ধন সম্পদ প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দিয়ে না গেলে জাহান্নাম থেকে বাঁচার কোনো উপায় থাকবে না। কারণ, মানুষের হক আল্লাহও ক্ষমা করবেন না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (15)
আহমদ ২০ মে, ২০২২, ৪:৫৮ এএম says : 0
শয়তানের কাজই হলো মানুষের মাঝে কিভাবে বিবাধ সৃষ্টি করবে
Total Reply(0)
আহমদ ২০ মে, ২০২২, ৫:০২ এএম says : 0
সরকার যাচ্ছে আলেমদের এ ইস্যু যাতে অব্যাহত থাকে। তারাই এ নাস্তিদের দিয়ে এটা করাইছে। যাতে দেশের অন্য ইস্যুগুলো ঢেকে পড়ে।
Total Reply(0)
আলিফ ২০ মে, ২০২২, ৫:০৯ এএম says : 0
দেশে হাজার কোটি দুর্নীতি হচ্ছে, এমন কোনো দিন নেই যে ধর্ষণ নেই অথচ এদের তালিকা হয় না। আর আলেমদের তালিকা হয়েছে। তারা তো দুর্নীতি করে টাকা ইনকাম করে না। আর তাদের নামে এলাকাইও কোনো বদনাম নেই। ফলে এর মধ্যেই দেশে বিবেধ সৃষ্টি হতে পারে। দেশে সংঘাত সৃষ্ঠি হতে পারে।
Total Reply(0)
আলিফ ২০ মে, ২০২২, ৫:১৩ এএম says : 0
ইতোমধ্যে আবার এনায়েতউল্লাহ আব্বাসী সাহেবের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম একটি সাইবার অপরাধ মামলা করে ফেলেছে। তিনি নাকি ভাষাগত একটি বিশ্লেষণে আইন লঙ্ঘন করে ফেলেছেন। আইনের বিষয় আইন দেখবে। তবে, কঠিন ধারার কোনো মামলা মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিতে পারে। রাজনৈতিক নিপীড়নেরও অস্ত্র হতে পারে। এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সরকার ও নাস্তিকদের সমালোচনা করতে দেখা গেছে। তবে, এ ইস্যু বন্ধ করা সরকারের জন্য ভালো হবে। নয়তো দেশে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে। আর আলেম সমাজ ও সরকারের মাঝে বিবেধ সৃষ্ঠি হতে পারে।
Total Reply(0)
Dr. Mohammad Ziaul Hoque ২০ মে, ২০২২, ৮:৩৪ এএম says : 0
আল্লাহর রহমত ও তাঁর নৈকট্য লাভের সহজতম রাস্তা হল নেক আমল বা মহৎ কাজ করা। এই ভাষ্যকার চমৎকার ভাবে বলেছেন যে কি ভাবে বান-ভাসি, অভুক্ত, হত-দরিদ্র এবং অসহায় মানুষের সাহায্য করে সৎকর্ম করা যায়। ইসলাম-বিদ্ধেষী ও আল্লাহ-বিদ্রোহী যুগে যুগে ছিল, এখনো আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। এসব অন্ধকার-বিলাসী, শয়তানি চেতনা ও চিন্তার ধারক মূর্খদের বিরোধিতা সত্ত্বেও, আমেরিকার পিউ রিসার্চ কেন্দ্রের জরিফ মতে, আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে ইসলাম হবে সারা পৃথিবীর প্রধান ধর্ম।
Total Reply(0)
Mf Yousuf ২০ মে, ২০২২, ১১:১৭ এএম says : 0
যথার্থ লিখেছেন
Total Reply(0)
Kazi Md. Jamal Uddin ২০ মে, ২০২২, ১১:১৮ এএম says : 0
যারা আলেমদের ১১৬ জনের লিস্ট করেছে ধর্মব্যাবসায়ী বলে!! তারা কখনো হুজুরদেরকে দাওয়াত দেয়নি হাদিয়াও দেয়নি হুজুরদের জালসার আয়োজন কখনো করেনি!! যা করে এদেশের জনগণ.. তবে তাদের এত চুলকানি কেনো??? আগে তদন্ত কমিটি যারা ছিল তাদের নাম দেশ ও জাতির স্বার্থে প্রকাশ করা অনুরোধ করছি সাংবাদিকদের কাছে?
Total Reply(0)
Mohammad Armanul Hoque ২০ মে, ২০২২, ১১:১৯ এএম says : 0
সাধারণ জনগণ আর কত সহ্য করবে এদের নির্যাতন!! এরা কাদের পক্ষ হয়ে কাজ করে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এদেরকে তো শয়তানের লিঙ্গের চামড়া দিয়ে তৈরি করেছে। এদের চিনে রাখা উচিৎ। শ্রীলঙ্কার মতো পিটাতে হবে এদের।
Total Reply(0)
Ismail Sagar ২০ মে, ২০২২, ১১:১৯ এএম says : 0
নাস্তিকরা আলেমদের বিরুদ্ধে বলে ভালোই করছে,বিরুদ্ধে করার কারনে আলেমদের চোখ খুলে গেলো,ওহাবী বেদআতী এক হওয়ার সুযোগ করে দিলো,আমার বিশ্বাস অচিরেই সব আকিদার আলেমরা একজোট হয়ে ঐক্যের ঘোষণা দিবে,
Total Reply(0)
মো মনির ভূইয়া ১৬ ২০ মে, ২০২২, ১১:১৯ এএম says : 0
দেশের জনপ্রিয় শতাধিক আলেম-উলামার নামের তালিকা করে তথাকথিত গণকমিশন তাদের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব জাতির সামনে স্পষ্ট করেছে। সময় আসলে সাধারণ মানুষের দ্বারা গণপিটুনির শিকার হবে তারা। যেমনটা শ্রীলঙ্কার এমপি মন্ত্রীদের হয়েছে।
Total Reply(0)
Mohammad Belal ২০ মে, ২০২২, ২:৩১ পিএম says : 0
বিচারপতি মানিক,আইনজীবী তুরিন দুজনেই বির্তকের মধ্যে দিয়ে তাদের স্বীয় দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পেয়েছেন,,গন কমিশনের নেই কোনো আইনগত ভিত্তি,এগুলো নিজেদের অর্জিত বিধিবহির্ভূত সম্পদ সেইভ করার ধান্ধা,, এগুলো একটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ইসলাম কে নিয়ে,, তাই এসব বিষয় অত্যন্ত সর্তকতার সহিত মোকাবিলা করতে হবে,,আইনজীবী তুরিন আফরোজের কাছে নিজের পরিবার নিরাপদ না, ভালো আচরণ করেন না তাদের থেকে সমাজ রাস্ট্র কি পাবে।
Total Reply(0)
Md Ashraful Hok ২০ মে, ২০২২, ২:৩২ পিএম says : 0
যে আলেমদের তালিকা করা হয়েছে তাদের থেকে হাতেগোনা কয়েকজন বাদে অনেককেই মানুষ চিনে না ধন্যবাদ মামলাকারীদের তাদের কারণে এখন বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকে আলেমদের চিনতে পেরেছি ইনশাআল্লাহ ইসলাম অনেকটা প্রসার হয়েছে
Total Reply(0)
Mʋĸʜtʌʀ Aʜɱɘɗ ২০ মে, ২০২২, ২:৩২ পিএম says : 0
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি থেকে মানুষের নজর ঘুরাতে সরকারের কারসাজি। সরকার জানে সাধারণ মানুষের নজরে সবচে সেনসেটিভ বিষয় হলো ইসলাম আরও এটাতে নারা দিলে মানুষ সহজে নরবে এবং সবাই ভুলে এটা নিয়ে ব্যাস্ত থাকবে
Total Reply(0)
Md Ismail ২০ মে, ২০২২, ২:৩২ পিএম says : 0
প্রকৃত সমস্যাগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত চেতনাবাজদের বৃথা চেষ্টা....
Total Reply(0)
বুলবুল ইসলাম ২০ মে, ২০২২, ২:৩৩ পিএম says : 0
তালিকা কারিদের টাকার উৎস কি জাতি জানতে চায়।এর এরা দুরনিতিবাজদের তালিকা করে না কেন?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন