হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর ও চট্টগ্রামের দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দের গভীর শোক প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। নেতৃবৃন্দ মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদন জ্ঞাপন করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফী ছিলেন মুসলিম উম্মাহর অন্যতম রাহবার। আল্লামা আহমদ শফী নাস্তিক মুরতাদ ও বাতিল বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক। কুরআন হাদিস প্রচার প্রসারে তাঁর অপরিসীম ত্যাগ ও অবদান জাতির কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালে চট্টগ্রামে বিভিন্ন মহলের শোক অব্যাহত রয়েছে। ব্রাসেলস সফররত তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এক শোকবার্তায় মরহুম আল্লামা শফীর রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ড. হাছান মাহমুদ তার শোকবার্তায় বলেন, আল্লামা শফী দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর মধ্যে প্রাচীন ও বৃহত্তম চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবে কওমি মাদরাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশে ইসলামী শিক্ষার বিস্তার ও স্বীকৃতি অর্জনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আরো যারা শোক প্রকাশ করেছেন, তারা হচ্ছে, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহাবুবুল আলম।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন: আল্লামা আহমদ শফির ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আল্লামা আহমদ শফী ছিলেন, ভারত স্বাধীনতা আন্দোলনের সিপাহসালার সায়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানী (রহ.) এর অন্যতম খলিফা ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ। তিনি ছিলেন নাস্তিক মুরতাদ ও বাতিল বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক। আল্লামা আহমদ শফী ছিলেন মুসলিম উম্মাহর একজন অন্যতম রাহবার ও ওলামায়ে কেরামের ঐক্যের প্রতীক। আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালে আরো যেসব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ এবং মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন তারা হচ্ছে, ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল কওমি কাউন্সিলে চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী ও মহা সচিব চৌধুরী হাসান মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আমীর আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ শেখ সাদী, ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ,জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ এর সভাপতি ক্বারী আবুল হোসেন ও মহাসচিব মুফতী মিনহাজ উদ্দিন, বাতিল প্রতিরোধ পরিষদ বাংলাদেশ এর সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতী ফখরুল ইসলাম ও মহাসচিব মাওলানা ইয়ামিন হোসেন আজমী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন বাংলাদেশ দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতী জয়নুল আবেদীন ও মহাসচিব জাকির হোসেন গোপালগঞ্জী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকীব অ্যাডভোকেট ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল করিম খান, মাওলানা শওকত আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইলিয়াস আতহারি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন