হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন,
কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসে সনদের এম এ এর সমমান সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শানে স্যোসাল মিডিয়ায় বিশেষ কিছু লোকজন, নানা অপপ্রচার, অশ্লীল বাক্তব্য ও কটুক্তি করেই চলেছে।
যা দেখে মনে হয় এরা আল্লামা আহমদ শফীর বিরুদ্ধে রীতি মতো মিডিয়া যুদ্ধে নেমেছে। তিনি বলেন, আমরা এসব অসভ্য লোকের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, আল্লামা আহমদ শফী দেশে সর্বাধিক পরিচিত একটি নাম। ইসলামবিদ্বেষী চক্রের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। ধর্ম বিশ্বাসী মুসলমানদদের হৃদয়ের স্পন্দন। লক্ষ লক্ষ ওলামা মাশায়েখের উসতাদ ও আধ্যাত্মিক রাহবর।
উপমহাদেশের বৃহত্তম ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক। আল হায়্যাতুল উলিয়া ও কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের চেয়ারম্যান। হেফাজতে ইসলামের আমীর। তার শানে এসব বেয়াদবি কেউ সহ্য করতে পারেনা। যারা এসব ফিতনা ছড়াচ্ছে তাদের সতর্ক করছি। অন্যথায় অমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবো।
তিনি বলেন, কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদের স্বীকৃতি এটা কারো করুণা নয় আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফসল। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে তা সংসদে পাশ হয়েছে। আমরা সে জন্য হযরতের শুকরিয়া আদায় করছি এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী জীবনের শুরু থেকে যে কোন ফিতনা, শিরক, বিদআত ও যাবতীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই করে যাচ্ছেন। নাস্তিক ব্লগারচক্রের বিষাক্ত থাবা যখন ইসলামের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে, তখনই গর্জে ওঠেছেন বয়োবৃদ্ধ এই শীর্ষ মুরুব্বী।
তাঁর এই গর্জন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। এই সিপাহসালারের বিরুদ্ধে যারা কটুক্তি করছে, বেয়াদবি করছে, নিশ্চয় তারা ফিতনাবাজ দুষ্টুচক্রের চিহ্নিত এজেন্ট।
তিনি বলেন, সকলের মনে রাখা উচিৎ কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি ও হেফজতের আন্দোলন এক সাথে মিলানো উচিৎ নয়। হেফাজত তার নীতি আদর্শের ওপর অটল থেকে আমীরে হেফাজতের নেতৃত্বে যে কোন নাস্তিক্যবাদী ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন