শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর মূর্তি ধর্মহীনতার ইঙ্গিত- আল্লামা আহমদ শফী

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ফেনী জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে গ্রিক দেবী মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপন ধর্মহীনতার ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি বলেন এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর এদেশের মানুষ বেঈমান হয়ে যাবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে হবে। চিঠিপত্র দিয়ে হোক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হোক প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে মূর্তি অপসারণে সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ফেনী জেলা হেফাজতের উদ্যোগে শহরের মিজান ময়দানে আয়োজিত শানে রিসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা শফী আরো বলেন বিশ্বের বড় বড় বিধর্মী দেশগুলোতেও এ ধরনের কোন মূর্তি চোখে পড়েনি। আমেরিকা ও ইন্ডিয়ার  সুপ্রিম কোর্টে এ রকম মূর্তি চোখে না পড়লেও বাংলাদেশে সরকার কার ইশারায় মূর্তি সংস্কৃতি চালু করেছে তা জাতির বোধগম্য নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। সরকারকে ধর্মহীনতা থেকে সরে এসে এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলমানের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করার অনুরোধ করেন আহমদ শফী। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. আজিজুল হক ইসলামাবাদী । জেলা হেফাজতের সভাপতি মাও. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে  মাও. ওমর ফারুক ও মুফতি ইলিয়াসের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মুফতি সাঈদ আহমদ, মাও. নুর ইসলাম আদীব, মুফতি শহীদুল্লাহ, মাও. আবুল কাশেম, আফজালুর রহমান, সাইফুদ্দিন কাসেমী, মাও. সাইদুর রহমান, আজিজুল্লাহ হেলাল, মুফতি আহমদুল্লাহ ও ফেনী আলীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেন, সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক মুরতাদরা রাষ্ট্রধর্ম তুলে দিতে চাইছে। তারা তাদের বিদেশি প্রভুদের নুন-রুটি হালাল করার জন্য এখন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি গণমুখী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে। সরকারের বসন্তের কোকিল মন্ত্রীরা তওহিদী জনতাকে হুমকি দিয়ে কথা বলছেন। বাম নাস্তিক নেতাদের মুখেও কেবল গালাগালি শোনা যাচ্ছে। পাঠ্যক্রমে নাস্তিকতা ও সাম্প্রদায়িকতা ঢুকিয়ে যারা নতুন প্রজন্মকে ঈমান ও ধর্মহীন করতে চেষ্টা করেছিল তারা এখন আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। দেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর লক্ষ্যে ভিনদেশি দালালচক্র নানামুখি উস্কানি দিচ্ছে। হেফাজত নেতৃবৃন্দের নামে মামলা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা এর স্পষ্ট আলামত। প্রধানমন্ত্রীকে সবদিক বিবেচনা করে ৯২ ভাগ মানুষের আশা আকাক্সক্ষা বহাল রাখতে হবে। দেশ ও জাতিবিরোধী অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেয়া চলবে না। দেশের মানুষ হেফাজতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ। ইসলাম ও দেশবিরোধী কোন চক্রান্তই তারা সফল হতে দেবে না। সম্মেলনে জেলার বিশিষ্ট আলেম ওলামা, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এ আহমদ শফী’র হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
khokon ১১ মার্চ, ২০১৭, ২:০৬ এএম says : 0
you should purified yourself.
Total Reply(0)
১১ মার্চ, ২০১৭, ৮:৫৮ এএম says : 0
আললাহ কবুল করুন
Total Reply(0)
Makbul ১১ মার্চ, ২০১৭, ১০:০৮ এএম says : 0
লিখে লাভ নাই।
Total Reply(0)
MD Shahin Alam ১১ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩২ এএম says : 0
মূর্তি কখনো ন্যায়ের প্রতীক হতে পারেনা। মূর্তি হচ্ছে শির্ক ও মূর্খতার প্রতীক। সত্যিকারে ন্যায়ের প্রতীক হচ্ছে "আল-কোরান"।
Total Reply(0)
Md Amdad Ullah ১১ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 1
অবিলম্বে মূতি অপসারণ চাই,না হলে দেশ ব্যাপি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Nur- Muhammad ১১ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 0
হুজুরের প্রতি রইল ছালাম। আল্লাহর কাছে হুজুরের দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি। হুজুরের ক্রিয়াকলাপে ইসলাম ও মনবতার উপকার হবে। যারা হুজুরের সমালোচনা করছে তাদেরকে নিন্দা করছি। ইসলামের জন্য হাদিস কোরানের আলোকে যে সব নির্দেশনা আসছে, তা সবই পালনীয় বলে আমি মনে করি। তাই হাইকোটের সমনে মূর্তি অপসারনের কথা সঠিক। আশা করি সরকার দ্রুত ব্যবস্হা গ্রহন করবে।
Total Reply(0)
MD Shahajalal ১১ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩৫ এএম says : 0
সরকার কেন বুঝতে পারতেছে না
Total Reply(0)
MD Raju ১১ মার্চ, ২০১৭, ১১:৪০ এএম says : 0
Right.
Total Reply(0)
মকবুল হোসেন পাইক ১১ মার্চ, ২০১৭, ২:২২ পিএম says : 0
সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে মূর্তিটি ‍সুপ্রিম কোর্টের সামনে বসানো হয় নাই। যারা মূর্তি পুজায় বিশ্বাস করে তাদের জন্য এটা ন্যায়ের প্রতিক হতে পারে কিন্তু যে সকল বিশ্বাসীরা মূর্তিকে তাদের বিশ্বাসের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক বলে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য এটা কিসের প্রতিক? যে দেশে 90% মুসলমান তাদের ঈমান ‍এবং আকীদা মূর্তি বিরোধী, তাদের বিশ্বাসের উপর মূর্তিকে ন্যায়ের প্রতিক হিসাবে চাপিয়ে দেওয়া সরাসরি দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার সামিল। সরকারকে বুঝতে হবে, এটা কোন রাজনৈতিক গেম নয়। ধর্মী বিশ্বাস এবং সংস্কৃতি-এটা ইচ্ছা করলেও বিশ্বাসীদের মন থেকে কোনভাবেই মুছে ফেলা যায় না।
Total Reply(0)
Faruk Ahmed ১১ মার্চ, ২০১৭, ৭:৩৬ পিএম says : 0
Our government should take necessary step settle this dispute.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন