দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে কৃত্রিম সংকটের কথা বলে পেঁয়াজ, চাল, ডাল, তেল ইত্যাদির দাম বাড়ানোর সংস্কৃতি বেশ পুরাতন। সাধারণ ভোক্তাদের চাহিদাকে পুঁজি করে এমন সময়ে আগের মজুদকৃত পণ্যও বেশ চড়াদামে বিক্রি করা হয়। ফলে, চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়েন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষজন। চলমান করোনাকালের প্রাথমিক অবস্থায়ও মাস্ক ও স্যানিটাইজার সামগ্রীর বিপুল চাহিদার সুযোগে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে উচ্চমূল্যে নিম্নমানের সামগ্রী বিক্রি করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের পর সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন তদারকি বাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তদারকি নিয়মিত না হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্যের বাজার অনেকটা নিয়মিত বিরতিতেই অস্থিতিশীল করে তুলে। গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন পর্যায়ে এক্ষেত্রে সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হলেও এখন পর্যন্ত তথাকথিত সিন্ডিকেট চক্র ধ্বংসে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। সময়সাপেক্ষ আমদানিনির্ভর পণ্যের ক্ষেত্রে দামের উঠানামা স্বাভাবিক হলেও দেশে উৎপাদিত পণ্য এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির সুযোগ থাকা পণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে নেওয়ার সম্পূর্ণ দায় সংশ্লিষ্ট খাতের সিন্ডিকেট সদস্যদের। সাধারণ ভোক্তাদের চাহিদাকে পুঁজি করে অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমিয়ে দাম বেশি নেওয়ার এই অপচর্চা কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। আর সিন্ডিকেটকে চিরতরে নিষ্ক্রিয় করা না গেলে স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব একটা সহজ নয়। এমতাবস্থায়, নীতিবিরুদ্ধ কর্মকান্ডে জড়িত ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবি।
বান্দরবান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন