শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বাঁশের সাঁকোই চার গ্রামবাসীর ভরসা

মহসিন আলী মনজু, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়ভিটা গ্রামের ওয়াবদা বিলের উপর নির্মাণ করা ব্রিজটি ভেঙে পানিতে তলিয়ে যায়। দীর্ঘদিনেও পুনরায় নির্মাণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় দু’পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে বিছিন্ন হয়ে পড়ে। বাঁশের সেতু নির্মাণ করে দু’পাশের সড়কের সাথে সংযোগ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। পরের বছর বন্যার পানির স্রোতে ব্রিজটি পানিতে ডুবে যায়। ড্রামের ভেলা দিয়ে মানুষ প্রথমে পারাপার হত। পরে জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়ওতায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। 

চর বড়ভিটা, চর বড়লই, চর সারডোব, চর মেখলীসহ চার গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ প্রতিদিনে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। চর বড়লই নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, চর বড়ভিটা, মধ্য চর বড়ভিটা ও মাঝিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখানে অবস্থিত। অতিরিক্ত লোক চলাচলে ড্রামের ওপর বাঁশের চটি দিয়ে নির্মাণ করা সাঁকোটি ইতোমধ্যে নড়বড়ে হয়ে গেছে। দু’চারজন একসঙ্গে পার হতে গেলে সাঁকোটি দুলে ওঠে। ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে বাধ্য হয়ে অনেকে সাঁকো পার হতে হচ্ছে। অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ অনেকে গভীর পানিতে পড়েছেন। কৃষিপণ্য আনা-নেয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাসপাতেলে নিতে স্বজনদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। জরুরি কলে ডাক্তাররাও এ পথে যেতে চান না। ধরলানদী গ্রামগুলো ভেতর দিয়ে প্রাবাহিত এলাকাটি ভাঙণ প্রবণ হত্তয়ায় ভেঙে যাওয়া ঘর-বাড়ি ব্র্রিজের এপারে নিয়ে আসতে অনেকে বিপদে পড়েছেন। চর কাগজিপাড়া মসজিদের ঈমান ও চর বড়ভিটা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, ২০১৭ সালের বন্যার পর গত চার বছরে আমরা দুঃখ দুর্দশায় চলাচল করলেও দীর্ঘদিনে ব্রিজটি নির্মাণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. খয়বার আলী মিয়া বলেন, তলিয়ে যাওয়া ব্রিজের চেয়ে আরো বড় ব্রিজের চাহিদাপত্র ওপরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে ব্রিজটি পুন:নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন