বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া রংপুর মহানগরীর অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলোতে এখনও হাঁটু পানি রয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর অধিকাংশ এলাকা এবং সড়ক থেকে থেকে পানি নেমে যাওয়ায় জীবন যাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
তবে পানিবন্দী এলাকাগুলোতে নলক‚প ডুবে যাওয়া এবং এসব এলাকার প্রতিটি বাড়ির পানির পাম্প পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে মারাত্মকভাবে। এসব এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও পানিবন্দী পরিবারগুলো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে না পারায় চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নেমে যাওয়ায় লোকজন ঘর গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে অধিকাংশ স্থানে রাস্তা থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরের মধ্যে পানি আটকে আছে। এসব পানি বালতি দিয়ে সেচে ঘর শুকানোর চেষ্টা করছেন। প্রতিটি বাড়ির প্রাচীর এবং ছাদে কাঁথা, কম্বল, তোষক-বালিশসহ কাপড় শুকাতে দেখা যাচ্ছে। নগরীর অনেক এলাকায় এখনো হাঁটুপানি রয়েছে। এখনো পানির নিচে এসব এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে এসব এলাকার অনেক পরিবারই এখনও স্কুল-কলেজে আশ্রয় নিয়ে আছেন। অনেকেই আত্মীয়দের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন স্কুল-কলেজে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোর মাঝে চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পানিবন্দী পরিবার গুলোর মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের পক্ষ থেকে খিচুড়িসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও তাদের জীবন যাত্রা এখনও স্বাভাবিক না হওয়ায় নিম্ন আয়ের লোকজন কাজে যেতে পারছেন না। ফলে এসব পরিবার বিশেষ করে রিক্সা চালকসহ দিনে এনে দিনে খাওয়া পরিবারগুলো চরম খাদ্য সঙ্কটে পড়ে গেছেন। জরুরী ভিত্তিতে এসব পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা প্রয়োজন।
এদিকে, হঠাৎ পানিবন্দি হয়ে থাকা এবং পানির স্রোতের কারণে অধিকাংশ এলাকায় রাস্তাগুলো ভেঙে গেছে। কোন কোন স্থানে ড্রেন ভেঙে রাস্তার সমান হয়ে যাওয়ায় ময়লা পানি জমে আছে। ফলে এসব রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন