জিনগত গবেষণায় অবদান রেখে দুই নারী বিজ্ঞানী পেলেন রসায়নে নোবেল পুরস্কার।জিনোম সম্পাদনার পদ্ধতি বিকাশের জন্য যৌথভাবে ২০২০ সালে রসায়নে নোবেল পেয়েছেন ফরাসি নাগরিক এমানুয়েল মেরি চার্পেন্টিয়ার ও জেনিফার এ ডোডনা। বুধবার দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। -নোবেল.ওআরজি, সিএনএন
নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ইমানুয়েল এবং জেনিফার জিন প্রযুক্তির অন্যতম সেরা প্রযুক্তি ‘সিআরআরএসপিআর/ক্যাস৯ জেনেজিক সিসর’ আবিষ্কার করেছেন। ইমানুয়েল ফরাসি অধ্যাপক এবং মাইক্রোবায়েলজি, জেনেটিক্স ও বায়োকেমেস্ট্রি বিষয়ের গবেষক। জেনিফার ডোডনা মার্কিন প্রাণ রসায়নবিদ এবং বার্কলি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আণবিক জীববিজ্ঞান, কোষ জীববিজ্ঞান ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক।
নোবেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আণবিক জীববিজ্ঞানে বিপ্লব নিয়ে এসেছে ‘সিআরআরএসপিআর/ক্যাস৯ জেনেজিক সিসর’। এটি ব্যবহার করে গবেষকরা নির্ভুলভাবে প্রাণি, উদ্ভিদ ও অণুজীবের ডিএনএ পরিবর্তন করতে সক্ষম। একইসঙ্গে তা ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মেচন করবে। জিনগত রোগ নিরাময়ের স্বপ্ন সত্যি করতে পারে এই আবিষ্কার। ১৯১১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রসায়নে মাত্র চার জন নারী নোবেল জিতেছিলেন। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ইসরায়েলের এডা ই ওনাথকে জীব কোষে অবস্থিত রাইবোজোমের গঠন ও ক্রিয়া নিয়ে কাজ করার জন্য নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন