সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় ধর্ষণের প্রমাণ পায়নি সংগঠনটির তদন্ত কমিটি। ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল রোববার তাদের প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে হাসান আল মামুনের সাথে ওই ছাত্রীকে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের’ কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে তারা। তবে তদন্ত কমিটির এই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছেন ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবি অনশনরত সংশ্লিষ্ট ছাত্রী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অভিযোগকারী এজাহারে হাসান আল মামুনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও হাসান আল মামুন সেটি অস্বীকার করেছেন। একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবেই তাদের সাথে পরস্পরের পরিচয় হয়, সাংগঠনিক কাজের সূত্রে নয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো কোন ঘটনা ঘটছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি কোন তথ্য প্রমাণ পায়নি। এমনকি অভিযোগকারীও এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির কাছে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। প্রতিবেদনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সাথে অভিযোগকারী ছাত্রীর কখনোই সাক্ষাৎ হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।’ এছাড়াও মামলার বিবাদীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে প্রতীয়মাণ হয়েছে’ বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
তবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী। তিনি বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের তদন্ত কমিটির প্রধান যাকে করা হয়েছে, ইয়ামিন বিন মোল্লা, তিনি একে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও সরকারের ষড়যন্ত্র বলে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন। তিনি যখন একে মিথ্যা মামলা বলে একটা অবস্থান নিয়েই নিয়েছিলেন, পরে যখন তাকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়, তখন তার নিরপেক্ষ অবস্থান থাকে না। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি, এটা নিরপেক্ষ তদন্ত না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন