করোনা পরিস্থিতির কারণে ডিসি সম্মেলন সঠিক সময় করতে পারেনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে এবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন আগামী নভেম্বর মাসে ভার্চুয়ালি হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইতোমধ্যে দেশের আট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের পাঠানো প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যাচাই-বাচাই কাজ শেষ করা হয়েছে।এ সম্মেলন সংক্ষিপ্ত হতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ শেখ রফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির যেহেতু উন্নতি হয়নি, সেজন্য ফিজিক্যালি জেলা প্রশাসক সম্মেলন করার কোনো সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তবে ভার্চুয়ালি হতে পারে। তবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ভার্চুয়ালি ডিসি সম্মেলন আগামী মাসে হওয়ার সম্ভন্ ারয়েছে।

সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহাম্মদ ইনকিলাবকে বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আগে প্রতি বছরের মতো সিরাজগঞ্জ জেলার উন্নয়ন এবং নতুন পরিকল্পনার প্রস্তাব গত মার্চ মাসে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। করোনার কারণে এবার এখনো সম্ভব হচ্ছে না। হয়তে আগামী মাসে হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

প্রতিবছর জেলা প্রশাসক ডিসি সম্মেলন হতো তিন দিনব্যাপী, গত বছর থেকে তা পাঁচ দিনব্যাপী হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়ে থাকে। গত বছরই ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররা বৈঠক করেন।

সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রতিবছরের জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবার এখনো এই সম্মেলন আয়োজন করতে পারেনি সরকার। গত বছর ১৪ থেকে ১৮ জুলাই ডিসি সম্মেলন হয়েছে। ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের কার্যাধিবেশন, একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও একটি সমাপনী অনুষ্ঠান থাকে। কার্যাধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন।

সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা লিখিতভাবে মাঠ প্রশাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। অধিবেশনের সময় এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। অধিবেশনগুলো হয় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে। কার্যাধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করে থাকেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।