শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জয়পুরহাটে হিমাগার মালিক-কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন

আলু মজুদের মিথ্যা তথ্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১:৪৩ পিএম

জয়পুরহাটের বিভিন্ন হিমাগারে আলু মজুদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ করেছে জেলার হিমাগার মালিক ও ব্যবস্থাপকগণ। বুধবার সকাল ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এর প্রতিবাদ জানান। তাদের দাবি,কারো সাথে কথা না বলে ‘হিমাগারে সংরক্ষণের অর্ধেকের বেশি আলু মজুদ বিষয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে হিমাগার মালিকদের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। সেই সাথে সমাজ তথা রাষ্ট্রের কাছে হিমাগার মালিকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্থানীয় মোল্লা হিমাগারের মালিক তরিকুল ইসলাম বলেন,জেলায় গত মৌসুমে ৩৮ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমি থেকে আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩২৭ মেট্রিক টন এবং আলুর চাহিদা ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। জেলার ১৭টি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ ক্যাপাসিটি দেড় লাখ মেট্রিক টন হলেও এবার আলু মজুদ হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। আলু সংরক্ষণের পর সাধারণত সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে হিমাগার থেকে অধিকাংশ আলু ব্যবসায়ীরা তাদের আলু বিক্রি করে থাকেন। আলুর আকাশচুম্বি দাম হলেও এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বর্তমানে জেলার প্রতিটি হিমাগারেই সংরক্ষণের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ আলু চাহিদার ভিত্তিতে কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা ভাড়া পরিশোধ করে হিমাগার থেকে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর বেশির ভাগই বীজ। আর বিক্রির জন্য যে আলু মজুদ রয়েছে তার পরিমাণ আড়াই লাখ বস্তা (৬০ কেজি হিসেবে)। কিন্তু গত ১৫ অক্টোবর বহুল প্রচারিত একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় ‘হিমাগারে সংরক্ষণের অর্ধেকের বেশি আলু মজুদ,তবুও ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে দাম’ শিরোনামে মনগড়া চিত্র তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা না বলে আলু মজুদের মনগড়া ও মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। তারা বলেন শুধুমাত্র ভাড়ার ভিত্তিতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়। আলুর দাম বাড়ানোর সাথে হিমাগার মালিকদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে। এ সময় তারা জেলার বিভিন্ন হিমাগারে আলুর মজুদ ও বিপণনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
এ সময় কালাই উপজেলার পুনট হিমাগারের ব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার,সাউথ পোল হিমাগারের ব্যবস্থাপক তারিক রহমান,পল্লী হিমাগারের ব্যবস্থাপক রাহুল ইমাম সাব্বির, ক্ষেতলালের বটতলী হিমাদ্রি হিমাগারের ব্যবস্থাপক আব্দুল কুদ্দুস সহ জেলার বিভিন্ন হিমাগারের ব্যবস্থাপকগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন