রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা। বেগম রোকেয়া সরণির দুই প্রান্তে কাজীপাড়া বিস্তৃত। এখানে মণিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ব্যাংক, গার্মেন্টস, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কাঁচাবাজারসহ ছোট-বড় বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন পশ্চিম কাজীপাড়ায় একটি সড়কের নাম বসুন্ধরা গলি। এই গলিপথ দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্য রাত অবধি বাসিন্দারা বেগম রোকেয়া সরিণতে এসে বাস ধরে থাকেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি অল্প একটু জায়গায় খানা-খন্দে পরিপূর্ণ। এখানকার জুয়ারেজ লাইন ময়লা-আবর্জনা ঢুকে বন্ধ হয়ে অনবরত পানি উপচে পড়ায় এই শুকনা মৌসুমেও পানি জমে সড়কটি প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপচে পড়া দুর্গন্ধময় পানির কারণে শ্বাস বন্ধ করে চলাচল করতে হয়। জমে থাকা পানি মশার প্রজননক্ষেত্র হওয়ায় দিনে-রাতে মশার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সব মিলিয়ে এ এলাকায় বসবাস করা দুরুহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার বাড়িওয়ালা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বহুবার আবেদন নিবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। তাই জরুরিভিত্তিতে সুয়ারেজ লাইনসহ রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আবদুল বাসেত আকন
পশ্চিম কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্ধিত বেতন ও ফি আদায়
শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তারা এমন কাজ কেন করতে যাবেন যার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন করতে হবে, স্মারকলিপি দিতে হবে। বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মাধ্যমিক স্তরের কতিপয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক কোচিং, পাবলিক পরীক্ষায় ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং বর্ধিত বেতন ও সেশনচার্জ আদায়ের জন্য মাউশি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে প্রজ্ঞাপন এমনকি মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশনা জারি করতে হয়েছে এহেন কর্মকা- থেকে বিরত থাকার জন্য। সমাজও রাষ্ট্র অন্তত শিক্ষকদের কাছ থেকে এ ধরনের কাজ প্রত্যাশা করে না। বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যে সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাতে প্রতীয়মান হয়, নিজেদের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে অভিভাবকদের পকেট থেকে এভাবে টাকা আদায়ের প্রয়োজন নেই। যে সরকার সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে পারে, প্রতি উপজেলায় একটি করে মাধ্যামিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণের উদ্যোগ নিতে পারে, প্রাথমিক ও মাধ্যামিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীর হাতে বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে বই তুলে দিতে পারে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শতভাগ বেতনরাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দিতে পারে সেই সরকার শিক্ষকদের সম্মান ও আর্থিক উন্নয়নে সদয় বিবেচনা করবে এটি স্বাভাবিক প্রত্যাশা। তাই আসুন, আমরা নিজেরা সমস্যার কারণ না হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সমস্যা দূর করি।
মাসরুরুল হক তানভীর
সহকারী শিক্ষক
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
ভোজ্য তেলের দাম আরো কমানো হোক
বর্তমানে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম নি¤œমুখী। সম্প্রতি মিডিয়ার কল্যাণে জানা গেছে, প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে ৩০ টাকা কম। কয়েকদিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ব্যবসায়ীরা প্রতিলিটার ভোজ্য তেলের দাম ৪ টাকা কমানোর প্রস্তাব করেন। বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুরোধে যা ৫ টাকা কমানো হয়। কিন্তু যেখানে আন্তর্জাতিক বজাারে ভোজ্য তেলের দাম বর্তমানে বাংলাদেশের দামের চেয়েও ৩০ টাকা কম, সেখানে মাত্র ৫ টাকা প্রতি লিটারে কমানোটা মেনে নেয়া যায় না। এ বিষয়ে আরো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমম্বয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
এম আই করিম
কাঁচিঝুলি, ময়মনসিংহ।
ময়লা-কাদা-গর্ত-পানি, এই নিয়ে গুলশান-বনানী
অনেকেরই ধারণা বনানী গুলশানে-বাস করা মানেই সকল সুখের আকরের মধ্যে বসবাস। কেউ কেউ ঈর্ষাও করেন এই অভিজাত (!) এলাকায় বসবাসকারীদের সৌভাগ্যকে। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? আমার ছোট ভাই দুষ্টুমি করে বলে, ময়লা-কাদা-গর্ত-পানি, এই আমাদের বনানী। সত্যিই তাই। এখানে দেখা যাবে বেলা বারোটায় ময়লা ট্রাক জ্যাম সৃষ্টি করে ময়লা ছিটিয়ে থামছে আর এগুচ্ছে। গত কয়েকবছরে রাস্তাগুলোর কোনো উল্লেখযোগ্য মেরামত হয়নি। কাজেই সেগুলো ভাঙাচোরা এবং যেখানে-সেখানে গর্ত, সব ঋতুতেই জমে থাকা পানি, স্ল্যাববিহীন মরণফাঁদ বানিয়ে রাখা ফুটপাত আর সেখানে মশার উৎপত্তিস্থল- এই সব মিলে এখানকার বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। রাস্তাঘাটে রিকশা, গাড়ি, ভ্যান মিলে দুর্বিষহ জ্যাম। হাঁটারও উপায় নেই, ফুটপাতে ভয়াবহ গর্ত, পানি, কোথাও নির্মাণসামগ্রী রাখা- সে এক অসহনীয় পরিস্থিতি। সুপার মার্কেটের চারপাশের রাস্তাগুলো ‘অভিজাত’ শব্দটিকে ব্যঙ্গ করে। সন্ধ্যোর পর মশার ভনভনানিতে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করা দুঃসাধ্য। আবাসিক এলাকার একেবারে ভেতরের রাস্তাগুলোতে দোকানপাট আর হোটেল-রেস্তোরাঁ, যেখানে পার্ক করা থাকে প্রচুর গাড়ি। ফলে চলাচলের বিঘœ ঘটে এবং সান্ধ্যকালীন জনজীবন হয়ে ওঠে অবাঞ্ছিত কোলাহলে পূর্ণ। তথাকথিত সুশোভন ১১ নম্বর রাস্তার ফুটপাতের গভীর গর্ত জীবননাশের জন্য যথেষ্ট। কোথাও আবার শেওলাধরা রাস্তাও আছে। ৬,৭, ৮, ১০ নম্বর রাস্তা দেখলেই পরিস্থিতি কিছুটা বোঝা যাবে। কিছুদিন থেকে এডিবির সহযোগিতায় উন্নয়নের কাজ শুরু হওয়ার দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকার কাজ, বিশেষ করে পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ একসঙ্গে ধরায় কোনোটাই শেষ হচ্ছে না। ফলে মাটি আর ভাঙা ইট-কংক্রিটের স্তূপ, আংশিক কাজ করে বন্ধ রাখা, যত্রতত্র গর্ত ইত্যাদি মিলে জনজীবনকে অসহনীয় করে ফেলেছে। আমরা এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করদাতারা, যথেষ্ট ভুগেছেন, এখন দয়া করে তাদের উদ্ধার করুন।
রেজাউল করিম
বনানী সুপার মার্কেট (দোতলা), বনানী, ঢাকা।
নিষিদ্ধ হোক শিশুশ্রম
শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, ছোটবেলা থেকে এ কথা শুনে আসছি। এখনও শুনছি, বিশ্বাসও করি, শিশুরাই আগামীদের পথপ্রদর্শক। আমাদের দেশ-সমাজ কি সব শিশুকে সেই সুযোগ দিতে পারছে? যেখানে খাতা-কলম নিয়ে স্কুলে থাকার কথা, সেখানে পেটের তাড়নায় তাকে কাজ করতে যেতে হয়। এমনকি বাসা-বাড়িতেও দেখা যায় গৃহকর্মী হিসেবে নিযুক্ত থাকতে। জাতীয় শিশুনীতি অনুসারে ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কোন শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারবে না। ৫ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুশ্রম নিয়োগকর্তার জন্য দ-নীয়। শুধু কাগজে কলমে এই আইন সীমাবদ্ধ। দারিদ্র্য দূর না হলে চরম দারিদ্র্যের শিকার শিশুদের শ্রম বিক্রি বন্ধ হবে না। শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে অল্প বয়সী এসব শিশু অমানবিক পরিশ্রম করছে। আইএলওর হিসেবে, বিশ্বে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি ৬০ লাখ। প্রতি ৬ জন শিশুর মধ্যে একজন শ্রমিক। শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে এসব শিশুকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। আইন করে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সবাইকে মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজন শিশুশ্রম বন্ধে শক্তিশালী কমিশন গঠন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।
সাঈদ সাজ্জাদ জেরিস
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
সেতুটি রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা নিন
ঢাকার অন্তর্গত সারুলিয়া বিশাল জনবহুল এলাকা। এখানে সারুলিয়া রাণীমহল সিনেমা হলের সামনে ডিএনডি জলাধারের ওপর অনেক দিন আগে একটিমাত্র স্টিলের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ভারতীয় যানবাহন চলাচলের ফলে অনেক জায়গায় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে এবং দু’পাশের প্লেটগুলোতে মরিচা ধরে ভাঙতে ভাঙতে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ ফাটল ও গর্ত দিয়ে অসতর্কতায় পথচারীদের নিচে পড়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই সেতুটির ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করে ভারতীয় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
মনসুর আহমাদ
রাণীমহল, সারুলিয়া, ডেমরা, ঢাকা।
পর্যটনশিল্পের স্বার্থে বিষয়টি ভাবা উচিত
বাংলাদেশের রাজস্বের একটি বড় অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। বিদেশি পর্যটক প্রথমে ঢাকাতেই আসেন। তাই তারা প্রথমে ঢাকায় কোনো হোটেল বা গেস্ট হাউজে ওঠেন। এই শিল্পের সঙ্গে প্রায় এক লাখ লোক প্রত্যক্ষভাবে এবং পরোক্ষভাবে প্রায় দশ লাক লোক জড়িত। আবাসিক এলাকায় কেউ পর্যটকদের কাছে বাসা ভাড়া দেয় আর গেস্ট হাউজেও রুম ভাড়া দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কানো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখন যদি তাতে বাধ সাধা হয়, তাহলে তার প্রভাব এসে পড়বে পর্যটনশিল্পের ওপর। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আল এমরান মৃধা (টুটু)
ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন