মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজধানীর তিন হাসপাতালে অভিযান : ওটি বয় দিয়ে অস্ত্রোপচার!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৪৭ পিএম

হাসপাতালে নেই কানো চিকিৎসক, মালিক ও ওয়ার্ড বয় মিলে রোগীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অপারেশন করত। এমন চিত্র রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মক্কা মদিনা নামের একটি হাসপাতালের। তবে ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে মালিক নূরুন নবী, ওটি বয় আনোয়ার হোসেন ও আব্দুর রশীদকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। 

র‌্যাব জানায়, গত বুধবার রাত ১০টায় মোহম্মদপুর এলাকায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। গতকাল ভোর ৪টা পর্যন্ত চলে ওই অভিযান। অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও র‌্যাব-২-এর একটি দল অংশ নেয়। এ সময় মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল, নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও ক্রিসেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ছয়জনকে কারাদÐ দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া হাসপাতাল তিনটির মধ্যে মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল ও নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র‌্যাব সূত্র জানায়, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নূরুন নবীকে এক বছর, ওটি বয় আনোয়ার হোসেনকে ছয় মাস ও আব্দুর রশীদকে ছয় মাসের কারাদÐ দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতালের ওটি বয় জাহাঙ্গীর হোসেনকে দুই ও দালালনেতা বাবুল হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদÐ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্রিসেন্ট হাসপাতালের মালিক আবুল হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদÐ দেয়া হয়েছে। দÐপ্রাপ্ত ছয় ব্যক্তিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।
অভিযান নেতৃত্ব দেয়া র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, মক্কা মদিনা হাসপাতালে দেখা যায়, অস্ত্রোপচারকক্ষের (ওটি) বয় দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। এর দায়ে মালিক নূরুন নবী, ওটি বয় আনোয়ার হোসেন ও আব্দুর রশীদকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ দেয়া হয়।
তিনি জানান, নূরজাহান অর্থোপেডিক হাসপাতালের ওটি বয় জাহাঙ্গীর হোসেন পঞ্চম শ্রেণি পাস। কিন্তু তিনি রোগীর অস্ত্রোপচার করছিলেন। এই হাসপাতালসহ এলাকার অন্য হাসপাতালে রোগী সরবরাহ করতেন দালালনেতা বাবুল হোসেন। তাদের দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে দÐ দেয়া হয়।
পলাশ কুমার বসু জানান, ক্রিসেন্ট হাসপাতালের মালিক আবুল হোসেন মাধ্যমিক পাস। কিন্তু তিনি অধ্যাপক হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করতেন। তাকেও কারাদÐ দেয়া হয়েছে।
পলাশ কুমার বসু আরো জানান, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছিল। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে নামসর্বস্ব ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ছাড়া জটিল অস্ত্রোপচার, অপচিকিৎসায় রোগীদের মারাত্মক ক্ষতিসহ প্রাণহানি, রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বিল আদায়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ প্রভৃতি। এছাড়া জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের ভাগিয়ে একটি দালাল চক্র বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগ পেয়ে ওই হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আমার সাথেও এই হসপিটালের মালিক নূর নবী চরম মিথ্যাচারিতা ও প্রতারণা করেছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন