মাদারীপুরে ইটেরপুল থেকে ঘোষেরহাট আঞ্চলিক সড়ক পুনঃনির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার চার মাসের মধ্যেই অন্তত ১০টি স্থানে সুরক্ষাদেয়াল ধসে পড়ে। এতে দেবে যায় সড়কও। এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিয়ষটির তদন্তে নামে। সোমবার সকাল ১১টায় মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগে তদন্তে আসে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত সরকারী ভবনের টিম। পরে তারা ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শণ করেন।
দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান জানান, ‘২০১৯ সালের জুলাই মাসে মাদারীপুর শহরের ইটেরপুল থেকে ঘোষেরহাট পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সড়ক টেকসই সংস্কার ও পূননির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক বিভাগ। একই সময় সড়কটি টেকসই করতে সড়কের খালের পাশে ব্লক ও ইট বালু সিমেন্টের মিশ্রনে সাড়ে ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ শেষ হয় ২০২২ সালের জুনে। দরপত্রে ৪১ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৬২৮ টাকায় কাজটি পায় বরিশালের মো. মাহফুজ খান লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এতে গত নভেম্বর মাসে দেয়াল ধরে সড়ক। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় দুদক প্রধান কার্যালয়। পরে সড়ক অফিসের বিভিন্ন কাগজপত্র দেখি। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ্য চারটি স্থান পরিদর্শণ করি।’ এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুদক মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানজীল হাসান, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন প্রমুখ।
এলাকাবাসী জানায়, নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সামান্য বৃষ্টিতেই গেলো নভেম্বর মাসে বাঁধে ধস নামে। ফলে বালু সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় হাঁটা চলায় বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে ভাঙ্গা স্থান মেরামত করেন। এর মধ্যে কুকরাইল, জেলাখানার মোড়, সনমান্দি, ধুলগ্রাম, ছয়না, বালিগ্রাম, পাথুরিয়ারপাড়সহ অন্তত ১০টি স্থানে সুরক্ষাদেয়াল বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়।
এব্যাপারে মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। অফিসে গিয়েও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি এ অভিযানকে দাপ্তারিক কাজ বলে দাবী করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন