সাভার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির খোঁজে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সদস্যরা। ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহীমের নেতৃত্বে একটি টিম বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রায় এক ঘন্টা সময় ধরে পুরানো দলিল দস্তাবেজের ব্যাপারে খোঁজখবর করেন। তারা সাব-রেজিস্ট্রার আবু তালেব সরকারের কক্ষে বসে গত এক বছরের পুরানো বেশকিছু দলিলের ব্যাপারে তথ্য জানতে চান। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি দলিলের দাতা, গ্রহীতা ও মুসাফিদাকারক এবং জমির সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকার ব্যাপারে তারা তথ্য জানতে চান। যেসব দলিল জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে অন্ডারভেল্যুর মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়েছে। যার সঙ্গে দলিল লেখক ছাড়াও সাব-রেজিস্ট্রার এবং অফিসের কতিপয় স্টাফরা জড়িত। এছাড়া অবৈধভাবে দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির নামে কথিত সেরেস্তার ব্যাপারেও তথ্য পেয়েছে দুদক সদস্যরা।
অন্যদিকে ছলচাতুরির মাধ্যমে নানান কায়দায় দলিল সম্পাদন করে অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া ৭ জনের ব্যাপারে তদন্ত করছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছ। এদের মধ্যে তিনজন দলিল লেখক এবং একজন উমেদার ও একজন পিয়ন রয়েছেন বলে দুদক কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।
তবে অনুসন্ধানে জানাগেছে, সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের রেকর্ডকিপার বাবুল মিয়া, উমেদার (সাব-রেজিষ্ট্রারের ব্যক্তিগত পিয়ন) মো: ইব্রাহিম ও আব্দুর রহিম আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেগেছে। তাদের রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি প্লট ও ব্যাংক ব্যালেন্স। সরেজমিনে ঘুরে তাদের এসকল তথ্যের খোঁজ পাওয়া গেছে।
এপ্রসঙ্গে সাভার সাব-রেজিস্ট্রার আবু তালেব সরকারের কাছে তার অফিসের রেকর্ডকিপার, উমেদার ও পিয়নের কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠফোনে এ প্রতিবেদককে তার সাথে দেখার করার জন্য অনুরোধ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন