রাত তখন ১১টা। ৯৯৯ থেকে ফোন আসে রাউজান থানায়। জানানো হয় উপজেলা সদরের পাশেই আশরাফ কলোনিতে চলছে বাল্য বিবাহের প্রস্তুতি। বন্ধ করতে হবে ওই বিবাহ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। মেয়ের জন্মসনদ তদারকি করে নিশ্চিত হওয়া গেল ১৮ নয়, বরং মেয়ের বয়স মাত্র ১৩ বছর ৫ মাস ১২ দিন। রাউজান সালামত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। নাম ঝুমা আকতার। নিজ বাড়ি নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার জাঙ্গালীয়াকান্দা গ্রামে হলেও বাবা মায়ের সাথে আশরাফ কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকে। বাবা আব্দুল জলিল পেশায় দিনমজুর।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ৯৯৯ থেকে বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীর সাথে নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে শফিকুল ইসলামের (২১) সাথে বিবাহ ঠিক হয়েছে। সব আয়োজন শেষ। আজ তাদের গায়ে হলুদ। ছেলের নিজ বাড়ি নেত্রকোণা হলেও চাচা-জেঠার সাথে থাকেন আশরাফ কলোনির পাশে খোরশেদ কলোনিতে। একটি চায়ের দোকানে কাজ করে সে। পরে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দিলে তিনিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন।
এ বিষয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, ঝুমা আকতার নামে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১২ টার সময় রাউজান ফকিরহাটের আশরাফ কলোনিতে এই বিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। পরে রাউজান থানায় উপস্থিত হয়ে বর ও মেয়ের বাবা থেকে ১৮ বছরের আগে আর বিবাহ দেবে না মূলে মুচলেকা নেয়া হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন থানার ওসি (তদন্ত) নুর হোসেন মামুন, পরিদর্শক অলি উল্লাহ, উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন, কাউন্সিলর আজাদ হোসেনসহ আনসার সদস্যরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন