নওগাঁর মহাদেবপুরে আল-আমিন (১৮) নামে অটোরিক্সা চালকের গলায় ছুরিকাঘাত করে অটোরিক্সাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দূর্বত্তরা। তাকে প্রথমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই সোহাগ (২১) নামে এক চালককে পুলিশ ফাঁড়ি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের স্বরুপপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আল-আমিন মহাদেবপুর উপজেলার বাগধানা গ্রামের আশরাফুল এর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় আল-আমিন শরীরের কাঁদামাটি ও রক্তাত্ত অবস্থায় নওহাটা মোড়ে এসে পড়ে যায়। এরপর পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি অবগত করা হয়। ওই যুবক হাত দিয়ে তার গলা ধরে ছিল। তেমন কথা বলতে পারছিল না। পুলিশের সহযোগীতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনাস্থলে দেখা যায় একটি কসটেপ ও একটি ব্যাগ পড়ে ছিল। অটোরিক্সাটি ছিনতাইয়ের উদ্যেশে হাত-পা ও মুখ বেঁধে গলায় ছুরি দিয়ে জখম করে দূর্বত্তরা অটোরিক্সাটি নিয়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে আল-আমিন তার হাত ও পায়ের টেপ খুলে গলায় ছুরিকাঘাতের স্থানটি হাত দিয়ে চেপেধরে সেখান থেকে চলে আসতে সক্ষম হয়।
অটোরিক্সার মালিক বিশু ঋষি বলেন, গত তিনদিন পূর্বে তিনি তার ব্যটারি চালিত চার্জারটি চালানোর জন্য দক্ষিণ-লক্ষিপুর গ্রামের একাব্বর হোসেনের ছেলে সোহাগকে চালানোর দায়িত্ব দিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। তিনি জানতে পারেন রোববার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সোহাগ হাঁপানিয়া বাজার নামক স্থানে আল-আমিন নামে এক যুবককে চার্জারটি চালানোর দায়িত্ব দেয়। এরপর আল-আমিন নওহাটামোড় থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে স্বরুপপুর এর উদ্দেশ্য রওনা দেন। পথিমধ্যে যাত্রীবেশী অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা তার মুখে ও হাত-পায়ে কসটেপ পেচিয়ে রাস্তার ধারে ধানক্ষেতে নিয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে চার্জার নিয়ে পালিয়ে যায়।
মহাদেবপুর থানার নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দূর্বত্তরা পরিকল্পনা করে যাত্রী বেশে অটোরিক্সা চালক আল-আমিনের গলায় ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি কসটেপ ও কিছু আলামত জব্দ করেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাঁড়িতে নেয়া হয়েছে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন