ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকে ঘিরে সারাবিশ্বে চলমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সব পক্ষকে সংযত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ অনুরোধ করেন তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সকল পক্ষকে অনুরোধ করে বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দায়িত্বের সঙ্গে ব্যবহার করুন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিবেন না। তাই ফ্রান্স ইস্যুতে সব পক্ষকে সংযত থাকার অনুরোধ করছি।
সউদী আরবে নারী কর্মীদের মৃত্যু নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই ধরনের মৃত্যু নিন্দনীয়। এটা আমরা কামনা করি না। তবে সউদী আরবে অনেক সময় নারীদের বয়স কম বেশি দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের এ নিয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যকে নিন্দা করবে না। তবে ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে ফরাসী বিরোধী সমাবেশগুলো সহ্য করবে সরকার।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, বাংলাদেশে ফরাসি নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং এ ছাড়া অলিঁয়াস ফ্রসেজ, এবং ফ্রেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-স্বাধীনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করেন। এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর স্যামুয়েলকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করেন।
স্যামুয়েল হত্যাকা-ের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকা- এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। এদিকে বাংলাদেশে এর প্রতিবাদে ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দূতাবাস বন্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন