রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু বিরোধী নেতাদের সম্মান দিয়ে কথা বলতেন

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে যারা দেখেছে, তারা ব্যর্থ : প্রেসিডেন্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন এক বিশাল হৃদয়ের মানুষ। নিজে স্বপ্ন দেখতেন এবং মানুষকে স্বপ্ন দেখাতেন। দেশের মানুষের প্রতি তার আস্থা, ভালোবাসা ও বিশ্বাস ছিল অপরিসীম। নিজের জীবন উৎসর্গ করে বাংলার মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে গেছেন। ঋণী করে গেছেন বাঙালি জাতিকে। জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙ্গর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়। বিরোধী দলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আলাদা একটি মনোযোগ ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের যত অমিলই থাকুক, বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না বরং তাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা বলতেন।

গতকাল সোমবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে স্মারক বক্ততায় প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ-২০২০ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের বিষয়। এটি আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। আমি আপনার মাধ্যমে সংসদ নেতা ও সংসদ সদস্যসহ প্রিয় দেশবাসী এবং দেশের বাইরে বসবাসরত সব প্রবাসীকে মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সন্ধ্যা ৬টায় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়। বিউগলে প্রেসিডেন্টের আগমনী অর্কেস্ট্রা বাজানোর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ৬টা ৭ মিনিটে সংসদ কক্ষে পৌঁছলে প্রথা অনুযায়ী জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যসহ অধিবেশন কক্ষে থাকা সবাই দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্টকে সম্মান জানান। এরপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দেওয়া দুর্লভ ভাষণ সংসদ কক্ষে দেখানো হয়। এ সময় পুরো অধিবেশনে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। এরপর ৬টা ৩৪ মিনিটে স্পিকারের পাশে রাখা ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেন প্রেসিডেন্ট, যিনি গণপরিষদ ও দেশের প্রথম সংসদের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আইনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন।

প্রেসিডেন্ট শুরুতেই দেশবাসীসহ দেশের বাইরে বসবাসরত সকল প্রবাসীকে মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ-২০২০’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে থাকতে পারা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের বিষয়। এজন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে অশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমি আশা করি অধিবেশনের কার্যক্রম বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অধিবেশনে জাতির পিতাকে সম্মান জানানোর মাধ্যমে আমরা নিজেরাও সম্মানিত হবো।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত করতে সকলকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এদেশের জনগণ থাকবে, ততদিনই বঙ্গবন্ধু সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি বিশ্বকে করেছেন আলোকময়। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে রবীন্দ্রনাথের জ্যোতি কবিতার কিছু অংশ পড়ছি- ভেঙেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়, তোমারি হউক জয়, তিমির বিদার উদার অভ্যুদয়, তোমারি হউক জয়।

আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৩৮ সালে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পরিচয় হয় এবং প্রথম পরিচয়েই তিনি নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমেই রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। তারপর থেকে লেখাপড়া, রাজনীতি ও জনসেবা যুগপৎভাবে চলতে থাকে। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী প্রথম আঘাত হানে বাঙালির মায়ের ভাষা ‘বাংলা’র উপর। ঘোষণা দেয় ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ শেখ মুজিব সচিবালয় গেট থেকে গ্রেফতার হন। অর্থাৎ, পাকিস্তান কায়েম হওয়ার ৮ মাসের মধ্যেই তিনি কারাবরণ করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যক্তি ও পারিবারিক বন্ধন কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সব সময়ই বঙ্গবন্ধুকে তার চলার পথে সাহস জুগিয়েছেন, বিপদে ভরসা দিয়েছেন। নিজের ও পরিবারের চেয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে বড় করে দেখেছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মরণসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি আমাদের আবাসভূমির নাম পূর্ব পাকিস্তান নয়, হবে বাংলাদেশ।

প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালির আবেগ ও আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ যা ছিল মূলত স্বাধীনতারই ডাক। এই ভাষণের পর বাংলার ঘরে ঘরে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি চলতে থাকে। বঙ্গবন্ধু সংসদ কার্যক্রমের পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারেও ছিলেন খুবই সচেতন। এ প্রসঙ্গে প্রথম অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসেই তিনি বলেছিলেন আমি মাননীয় সংসদ সদস্যদের আর একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, কোনো প্রস্তাব আনার আগে পার্টিতে তা আলোচনা করে তারপর উপস্থাপন করবেন। তা না হলে এর দ্বারা পার্টির শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। তিনি বলেন, এ সরকারের অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারসম্পন্ন করা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এখনো চলমান। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এ বিচার অন্যতম মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

১৯৭৩ সালের পার্লামেন্টে আতাউর রহমান খান, এমএন লারমাসহ বিরোধী দলের কয়েকজন এমপি ছিলেন। তখনও দেখেছি, তারা কথা বলতে চাইলেই সুযোগ পেতেন। প্রায় সময় বঙ্গবন্ধুই স্পিকারকে বলে সে সুযোগ করে দিতেন। বিরোধী দলের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আলাদা একটা মনোযোগ ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছিল। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের যত অমিলই থাকুক, বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না বরং তাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। রাজনৈতিক শিষ্টাচার’ তার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট। করোনাভাইরাস মানবসভ্যতাকে ইতিহাসের এক চরম বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর অপার সম্ভাবনাময় বিশ্বকে ঠেলে দিয়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে। করোনার প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি, কর্মহীন হয়ে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। উন্নত বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এরইমধ্যে করোনায় আমরা অনেককে হারিয়েছি, যাদের মধ্যে রয়েছেন- বরেণ্য রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, নার্সসহ নানা পেশা ও বয়সের মানুষ। করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমাদের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পসহ অর্থনীতির সকল সেক্টরে।

আবদুল হামিদ বলেন, কোটি কোটি মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় জীবনযাত্রায় নেমে এসেছিল অচলাবস্থা। সেই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ দফা নির্দেশনা দেন এবং প্রতিনিয়ত ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, দিক-নির্দেশনা দেন। তার এই সময়োচিত সাহসী সিদ্ধান্ত এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সাহসিকতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য আমি আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি জাতিসংঘসহ বহুজাতিক সংস্থা ও উন্নতবিশ্বকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যথাসময়ে ভ্যাকসিন পাওয়ার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, এটা জেনে তিনি আশাবাদী।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
আশিক ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
এখন অনেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভুলে গেছে
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
বঙ্গবন্ধু বিশালাকার ব‍্যাক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু মানবতাবাদী মনের অধিকারী ছিলেন। সাধারণ মানুষ কে অসাধারণ ভাবে ভালবাসতেন। বিপদে বিরোধীদের সাহায্য সহযোগিতা করতেন। বঙ্গবন্ধু শারীরিক গঠন কথাবার্তা মায়া মমতা পোশাক তাহার কন্টস্বর চশমা। তাহার চেহারা হাসি সবকিছুই ছিল অসাধারণ। বঙ্গবন্ধু ছিল আন্তর্জাতিক মানের নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্থপতি জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর জর্মশত বার্ষিকীতে বাংলাদেশ পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর রক্তের তেজুদীপ্ত স্রোতধারা জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান বাংলাদেশ কে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার শক্তিশালী স্বপ্ন সারথী।বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষ বিচক্ষন বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী মানবতাবাদী নেতা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক ভাবে অসংখ্য পুরুস্কার প্রাপ্ত বিশ্ব মানবতার মা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের নতুন দিগন্তের সুচনা শক্তিশালী অর্থনীতি শক্তিশালী বাংলাদেশের পরিচিতি। একটি মর্যাদাবান বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অস্বীকার করার উপায় নেই। আন্তর্জাতিক গন মাধ্যম বিশ্ব ব‍্যাংক দাতা সংস্থা বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের জন্যে বঙ্গবন্ধু ক‍ন‍্যার প্রশংসনীয় রাষ্ট্র পরিচালনা প্রশংসা করছে। জাতীয় ঐক্য দেশের লক্ষকোটি মানুষের দোয়াতে বাংলাদেশ বিশ্বের মাঝে অর্থনৈতিক পরাশক্তি হবে। ইনশাআল্লাহ। দেশের সার্বভৌমত্বের অতদ্র প্রহরী বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের বুকের শহীদি রক্তের রঞ্জিত বাংলাদেশ। জীবন্ত কিংবদন্তি তাহার দুই কন‍্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেষ হাসিনা শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর জর্ম বার্ষিকী হউক শান্তির উন্নয়নের অগ্রগতির। ডিজিটাল বাংলাদেশ আকাশ বিজয় সাগর বিজয় পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির বিজয়ী বাংলাদেশের অর্থনীতির বিজয়ী লক্ষ লক্ষ আশ্রয়হীন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী হাজার হাজার গন হত্যার স্বীকার রক্তাক্ত শিশু নারী পুরুষ বৃদ্ধার আশ্রয় দাতা শান্তি আর মানবতার কল‍্যানের জন্যেই বিশ্ব নেতৃত্ব শান্তির পক্ষে নোভেল শান্তি পুরুষ্কার হতে বঞ্জিত করলো বঙ্গবন্ধুর কন‍্য কে। বঙ্গবন্ধুর কন‍্যাও বঙ্গবন্ধুর মত এই বাংলাদেশ কে ভালবাসেন বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের মাঝেই মর্যাদাবান রাষ্ট্র। পার্শ্ববক্তিরা অনেক গুলো সূচকে পিছিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সুদুর প্রশারী পরিকল্পনা জন্যেই। মহামারীতে আক্রান্ত কোটি কোটি লক্ষ লক্ষমৃত্যুর মিছিলে বিশ্বের কঠিন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর জর্মশত বার্ষিকী হউক শান্তির স্থিতিশীলতার আল্লাহ্ সবাই কে হেফাজত করুক।
Total Reply(0)
Rased Hossen ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৮ এএম says : 0
এটা কাদের সাহেবদের বুঝানো দরকার
Total Reply(0)
Shah Reza ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৯ এএম says : 0
আমাদের কাদের কাকা এবং হাসান মাহমুদ ভাইও বিরোধীদের যথেষ্ট সন্মান দিয়ে কথা বলেন।
Total Reply(0)
Md Forhad Ahammed ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৯ এএম says : 0
এখন তার উল্টো
Total Reply(0)
Talukder Ruhul Islam Rukon ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৩০ এএম says : 0
এই সংস্কৃতি কি এখনো বিদ‍্যমান আছে ??
Total Reply(0)
MD Hafizur Rahman ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৩১ এএম says : 0
apnara ki koran ?
Total Reply(0)
Enamul Hoq Chowdhury ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৩১ এএম says : 0
আর এখন ?
Total Reply(0)
Mohammad R Islam ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৩২ এএম says : 0
স্যার আপনার মতো মন মানসিকতা যদি সবার হতো, তাহলে আমরা একটা সমাজ পেতাম।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন