শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দলে আস্থা নেই অর্ধশতাধিক মুসলিম লেবার সদস্যের

ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ব্রিটেনের প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির অর্ধশতাধিক মুসলিম সদস্য ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় কায়ার স্টারমারকে বিশ্বাস করেন না, প্রায় একই অনুপাতে বলেছেন, তারা দলের অভিযোগ প্রক্রিয়ায় আস্থাশীল নন। একটি নতুন জরিপে এসব তথ্য মিলেছে। লেবার মুসলিম নেটওয়ার্কের (এলএমএন) রিপোর্টটি সর্বশেষ লক্ষণ যাতে প্রমাণিত হয় যে, দলের নতুন নেতৃত্ব সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর সদস্য এবং সমর্থকদের বিশ্বাস হারাতে শুরু করেছে, এমনকি ইহুদি ভোটারদের সমর্থনও হারাচ্ছে।
দলের নিজস্ব কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘু জাতিগত কর্মীদের নেটওয়ার্কের সদস্যরা এ বছরের গোড়ার দিকে স¤প্রচারিত অভিযোগের প্রতিধ্বনি জানিয়েছে যে, দলটিতে বর্ণবাদসহ বর্ণবাদী শ্রেণিবিন্যাসের ধারণা ছিল। কিছু ফর্ম অন্যদের চেয়ে গুরুতর বিবেচিত হয়।

৪২২ জন মুসলিম সদস্য বা দলের সমর্থকদের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্রায় ১০ জনে ৬ জন তথা ৫৯ শতাংশ মনে করেন না যে, ‘লেবার দলের নেতৃত্ব থেকে যথাযথভাবে উপস্থাপিত’ হয়েছে এবং প্রায় অর্ধেক তথা ৪৪ শতাংশ বিশ্বাস করেন না যে, দলটি ইসলামবিদ্বেষ ইস্যুটিকে গুরুতরভাবে গ্রহণ করে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৫৫ শতাংশ ‘ইসলামবিদ্বেষকে কার্যকরভাবে মোকাবিলায় লেবার পার্টির নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখেন না’ এবং ৪৮ শতাংশ জনের ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় দলের অভিযোগ পদ্ধতিতে আস্থা নেই। উত্থাপিত বিষয়গুলোর মধ্যে আইনের শাসন এবং আইনি সত্তা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনে ইসলামবিদ্বেষের উদাহরণ এবং সরকারের র‌্যাডিকালাইজেশনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দলের কৌশল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা রয়েছে। নতুন নেতৃত্ব কীভাবে ফিলিস্তিনের পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে সে সম্পর্কে রয়েছে সাধারণ উদ্বেগ।

প্রতিবেদনে উদ্ধৃত এক লেবার সমর্থক বলেছেন: ‘যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মতোই একজন মুসলমান হিসাবে প্রায়ই মনে হয় যে, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আমরা তালিকার নীচের দিকে আছি, সম্মানিত হচ্ছি এবং আমাদের সর্বোত্তম স্বার্থগুলো শোনা ও প্রতিবিধান করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে যে, যুক্তরাজ্যের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই মুসলমানদের নিন্দা করা এবং এমনকি নির্যাতন করা ক্রমশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে’।

এলএমএন-এর এক মুখপাত্র বলেছেন, এ প্রতিবেদনের ফলাফল যাচাই-বাছাই করা হয়েছে এবং লেবারকে পার্টিতে মুসলমানদের বর্ণিত বর্ণবাদ নিয়ে ‘ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ’ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। লেবারের দেয়া বিবৃতি এবং স্টারমার এবং তার ডেপুটি অ্যাঞ্জেলা রায়নারকে দায়ী করে নেতৃত্বের সাথে উত্থাপিত সমস্যাগুলো সমাধান করেনি, তবে তারা বলেছে যে, তারা এলএমএন এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে।

এতে বলা হয়েছে: ‘আমরা এ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের জন্য লেবার মুসলিম নেটওয়ার্ককে ধন্যবাদ জানাই, পাশাপাশি আমাদের মুসলিম সদস্যদের বিষয়টি উপস্থাপন করা, অন্তর্ভুক্ত করা এবং শুনানি নিশ্চিতের জন্য তাদের কাজকেও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দলে বা সমাজে ইসলামবিদ্বেষের কোনও স্থান নেই এবং আমরা তা উপড়ে ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
তাসফিয়া আসিফা ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৮:০৯ এএম says : 0
ইসলাম বিদ্বেষ মোকাবেলায় মুসলিমদের ঐক্যবদধ হতে হবে।
Total Reply(0)
জাহিদ খান ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৮:০৯ এএম says : 0
রিপোর্টটা আমলে নিয়ে মুসলিম নেতাদের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
Total Reply(0)
হিমেল ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৮:০৯ এএম says : 0
খুবই দুঃখজনক খভর।
Total Reply(0)
জুয়েল মিয়া ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ৮:১০ এএম says : 0
লেবার পার্টি কি আস্তে আস্তে ইসলাম বিদ্বেষী অবস্থানে চলে যাচ্ছে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন