ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার সরকারে ৩১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করে খুব বড় মন্ত্রিসভা থাকার সাম্প্রতিক প্রবণতা অব্যাহত রেখেছেন। নতুন সরকারের অভ্যন্তরীণ বৃত্তকে তাদের প্রথম বৈঠকের জন্য বুধবার ডাউনিং স্ট্রিটে একটি বর্ধিত টেবিলের চারপাশে বসতে হয়েছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাজ্যের নেতারা মিত্রদের পুরস্কৃত করার জন্য সরকারের শীর্ষে আরো বেশি সংখ্যক পদ তৈরি করছেন। সুনাক তার পূর্বসূরি লিজ ট্রাস এবং বরিস জনসনের সমর্থকদেরও দলীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে স্থান দিয়েছেন। এর অর্থ হল ব্রিটেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বড় মন্ত্রিসভা রাখার প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ তার মন্ত্রিসভায় মাত্র ১৯ জন সদস্য রেখেছেন, যেখানে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ মাত্র ১৭ সদস্যের সাথে কাজ করছেন। জাপানে মন্ত্রিসভার আকার ২০ এবং অস্ট্রেলিয়ায় এটি ২৩।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় ২৫ জন মন্ত্রী ও কর্মকর্তা রয়েছেন। জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে শুধুমাত্র কানাডাই ৩৯ জনের বিশাল মন্ত্রী দল নিয়ে ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে গেছে। সুনাক নিজেকেসহ ২২ পূর্ণ মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ করেছেন এবং ‘মন্ত্রিসভায় যোগদানকারী’ মন্ত্রীদের আরো নয়টি ভূমিকা দিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে, তার শীর্ষ দলটি ট্রাসের মন্ত্রীসভার মতোই একই আকারের, এবং জনসন দ্বারা একত্রিত প্রথম দলের চেয়ে দু’জন কম। তবে এটি থেরেসা মের প্রথম মন্ত্রিসভা থেকে বড়, যার ২৭ জন মন্ত্রী ছিলেন। ডেভিড ক্যামেরনের ৩০ জন এবং টনি ব্লেয়ারের ২৬ জন মন্ত্রী ছিলেন। সাম্প্রতিক প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মন্ত্রীসভা ছিল গর্ডন ব্রাউনের, যিনি তার অভ্যন্তরীণ বৃত্তে ৩৯ জন সদস্যকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আধুনিক মন্ত্রিসভাগুলো গত বছরের তুলনায় অনেক বড়। মার্গারেট থ্যাচারের প্রথম শীর্ষ দলটি ছিল মাত্র ২২ জনের সমন্বয়ে গঠিত। সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন