শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

রেডিওতে আরবি অনুষ্ঠান চালু করা ছিল বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত

প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহু অমর কীর্তির মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রমের সব অনুষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত। এ কার্যক্রমের প্রথম পরিচালক মোহাম্মদ মোহাদ্দেস ও তার সহকর্মীবৃন্দের আপ্রাণ উদ্যোগ-প্রয়াসের ফলে এ বিভাগটি আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে। মোহাদ্দেসের পরিচালনাকালে বহির্বিশ্বের যে ক’টি অনুষ্ঠান চালু করা হয়েছিল পশতু ও পাঞ্জাবি ব্যতীত সব অনুষ্ঠানই সক্রিয়ভাবে চালু রয়েছে এবং আর কোনো নতুন অনুষ্ঠান প্রবর্তিত হয়েছে বলে জানা নেই। বর্তমানে প্রচলিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে আরবি অনুষ্ঠান প্রবর্তনের কিছু কথা পূর্বে বলা হয়েছে। এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো কোনো মহল হতে যে ধূম্রজাল সৃষ্টির প্রয়াস চালানো হয়েছিল যা উল্লেখ করার মতো। একটি বাংলা সাপ্তাহিকী লিখেছিল : ‘বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রম সম্প্রতি ৩০ মিনিটের একটি আরবি অনুষ্ঠান শুরু করেছে। এই আরবি অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে গোটা অনুষ্ঠান কাঠামোতে রদবদল করতে হয়েছে। তন্মধ্যে বহির্বিশ্বের মুখ্য অনুষ্ঠানÑ হিন্দির বেলায় সময়সীমা কমিয়ে আনতে হয়েছে। আমাদের জিজ্ঞাস্য, বহির্বিশ্ব কার্যক্রমের হিন্দি অনুষ্ঠানের এত জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও তার সময়সীমা কর্তন না করে কি চলত না? হিন্দি অনুষ্ঠানের কাছাকাছি সময় ছাড়া অন্য সময়ে আরবি অনুষ্ঠান প্রচার করলে ক্ষতি কি ছিল?’
এক ঘণ্টার হিন্দি অনুষ্ঠান হতে ৩০ মিনিট আরবির জন্য বরাদ্দ করার বিষয়টির অযৌক্তিকতার কথা বলা হয় উক্ত রিপোর্টে এবং এ সম্পর্কে বেতার কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যাও তুলে ধরা হয় । কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা পাঠ করলে অভিযোগের অসারতা প্রকাশ পায়। এ বিভাগের অন্যতম কর্মকর্তা হুমায়ুন আজাদ বখশ (মরহুম) যা বলেছিলেন রিপোর্টে তা এভাবে ব্যক্ত করা হয় : ‘আমরা ১৭-৩০ মিনিটে গিনেস সময় এই অনুষ্ঠান প্রচার করছি (বাংলাদেশে তখন রাত সাড়ে এগারোটা)। তার কারণ হলো এই সময়টিই মধ্যপ্রাচ্যের লোকদের অবসর যাপনের সময়। বলা বাহুল্য, এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশসমূহের সময় হলো বিকেল সাড়ে সাতটা। আরব দেশ ও তথাকার সামাজিক জীবন সম্পর্কে বিশেষভাবে ওয়াকিবহাল এমন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই সময়েই এখনকার লোকেরা রেডিও-টিভি দেখে থাকে এবং যুগপরম্পরায় এ সময়টিই তাদের প্রকৃত চিত্তবিনোদনের সময়। অতএব এ সময়ের বাইরে অনুষ্ঠান করলে আমাদের অনুষ্ঠান প্রচারের উদ্দেশ্য পদে পদে ব্যর্থ হতো।’
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ছিল, তিন দিনের মধ্যে আরবি অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে। এ নির্দেশের প্রতিফলন দেখা যায় হুমায়ুন আজাদ বখশের অপর এক বক্তব্যে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আকস্মিকভাবে আরবি অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা সহজেই অনুমেয়। (আকস্মিকতা বলতে সম্ভবত বঙ্গবন্ধুর নির্দেশকে বোঝানো হয়েছে।) মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে আমাদের মতামতের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। জনগণের কাছে তাই এই অনুষ্ঠান সঙ্গতকারণেই অভিনন্দিত হয়েছে।
বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রম হতে তখন যে ক’টি অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো বাংলা ব্যতীত তার সব ক’টিই ছিল বিদেশী ভাষায়। এসব ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাষা জানা লোকের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। স্থানীয় লোকদের দ্বারা প্রায় অসম্ভব। তাই ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী লোকদের এ কাজে নিয়োগ করার প্রয়োজনও ছিল। কিন্তু আগে অনুষ্ঠানের জন্য বিদেশী লোকের প্রয়োজন কখনো দেখা দেয়নি। আলোচ্য সাপ্তাহিকীটি এবার বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রমে বিরাট ‘গোঁজামিল’ অনুসন্ধান করতে থাকে এবং কিছু কিছু গরমিল চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। স্বনামে রচিত প্রতিবেদনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘গোঁজামিল’ আবিষ্কার করতে গিয়ে আরবি অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে যা বলা হয় এখানে আমরা শুধু তারই উল্লেখ করতে চাই। বলা হয় : অনুরূপভাবে আরবি অনুষ্ঠানের বেলায়ও বলা চলে যে, আলাউদ্দীন আজহারী বা খালেদ সাইফুল্লাহ তারা দু’জনও খাঁটি বাঙালি, আরবিকে তারা পরদেশী ভাষা হিসেবে শিখেছেন। অবশ্য এ কথা অনেকে বলবেন যে, আমাদের দেশে এমনকি উপমহাদেশের মধ্যে আজহারী সাহেব আরবি ভাষায় প-িত হিসেবে হাতেগোনা কয়েক জনের মধ্যে একজন। কিন্তু তা হলেও তিনি মডার্ন অ্যারাবিকের আহলে জবান নন। আরবি ভাষার অনুষ্ঠানের জন্য আরব দেশের লোকই অপরিহার্য।
প্রতিবেদনে প্রতিবেদক আহলে জবান ও মডার্ন অ্যারাবিকের ব্যাখ্যা না করলেও দীর্ঘ চার দশকেরও অধিক সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে আরবি ভাষা জানা খাঁটি বাঙালিরাই এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন, আরব দেশের কোনো লোকের প্রয়োজন কখনো দেখা দেয়নি, ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রম হতে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলোর ন্যায় আরবি অনুষ্ঠানে, সংবাদ ও সংবাদ পর্যালোচনা কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করে থাকে এবং সেগুলো আরবিতে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়। প্রোগ্রামের সবকিছুই প্রচারিত হয় কর্তৃপক্ষের পরিবেশিত সব বিষয়বস্তু। বিশেষত, আরবি অনুষ্ঠানে ঘোষণার পর প্রথমেই কালামে পাক হতে তেলাওয়াতের রেকর্ড বাজানো হয়। অতঃপর ইংরেজি হতে অনূদিত সংবাদ ও সংবাদ পর্যালোচনা পাঠ করা হয়। বাংলায় দেশের গান বা দেশাত্মবোধক গান, জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকীয়, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংক্রান্ত বাংলা-ইংরেজি প্রবন্ধ-নিবন্ধ ইত্যাদির অনুবাদ, খেলাধুলা সংক্রান্ত খবর- বিবরণ, আরবি হামদ-নাত এবং বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পীদের আরবি গান ইত্যাদি। বিভিন্ন জাতীয় দিবস, উৎসব দিবস, ধর্মীয় পবিত্র উৎসব ইত্যাদি ছাড়া সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ও ব্যক্তিত্বের স্মরণে কথিকা ইত্যাদি নিয়মিত প্রচারিত হয়। আরবি অনুষ্ঠানের সূচনালগ্ন থেকে ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠানটির সাথে এই লেখক ওতপ্রোত ও সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকায় ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা অল্প কথায় লিখে শেষ করা যাবে না। অবসরের পর বিগত ১৬ বছর বেতারের সাথে সম্পর্কহীনতার কারণে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও অনুষ্ঠানের খবরাখবর মোটেই অজানা নয়। নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, আরব দেশের কোনো লোকের প্রয়োজন এ অনুষ্ঠানে হয়নি। খাঁটি বাঙালিদের এই আরবি অনুষ্ঠানে অতীতে যারা কর্মরত ছিলেন এবং যারা এখনো আছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন আরব দূতাবাসে কর্মরত বাঙালি ও আরব বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষাপ্রাপ্তদের অনেকে আরবি অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং এখনো আছেন। এ দেশের অনেক খ্যাতনামা আলেমও বিভিন্ন উপলক্ষে কথিকা লেখেন এবং পাঠ করেন।
আরবি অনুষ্ঠানে বর্তমানে যারা কর্মরত আছেন তাদের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক মওলানা মোফাজ্জল হোসেন খান দীর্ঘ চার দশক যাবৎ কর্মরত আছেন। তরুণ মওলানা এনামুল হক ব্যতীত সবাই কেজুয়েল বা অনিয়মিত কর্মরত। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একদিকে যেমন আধুনিক আরবি চর্চার সুযোগ সম্প্রসারিত হচ্ছে, বেতার জগতে কর্ম অভিজ্ঞতা, দক্ষতাও বাড়ছে, তেমনি এ অনুষ্ঠান প্রতিনিয়ত আরব বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। আর তা সম্ভব হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এক নির্দেশেÑ তিন দিনের মধ্যে চালু হওয়া এই আরবি অনুষ্ঠানের বদৌলতে। কিন্তু তিক্ত হলেও সত্য যে, আরবি অনুষ্ঠানের প্রবর্তক বহুদিন যাবৎ যথাযথ স্থান পাননি তারই প্রবর্তিত এ আরবি অনুষ্ঠানে। সরকার এসেছে, গেছে এবং যার যার গীত গেয়েছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু উপেক্ষিত থেকেছেন সর্বদা। প্রাসঙ্গিকভাবে একটি ঘটনার উল্লেখ করা প্রয়োজন। ১৯৭৩ সালের ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ বেতারে আরবি অনুষ্ঠান প্রবর্তিত হওয়ার পর এক বছর তিন মাসেরও কম সময় অর্থাৎ প্রায় ১৫ মাস বঙ্গবন্ধু জীবিত ছিলেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে মর্মান্তিকভাবে শহীদ করা হয়। এই লেখক যেহেতু আরবি অনুষ্ঠানের সূচনালগ্ন থেকে যুক্ত ছিলেন তাই অনেক কিছু প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছে। তার শাহাদতের ঘটনার পর থেকে আরবি অনুষ্ঠান প্রবর্তক বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী অনেক বছর এসেছে, কিন্তু আরবি অনুষ্ঠানে ঐ দিবস উপলক্ষে বিশেষ তো দূরের কথা, একটি মামুলি কথিকাও প্রচারিত হয়েছে বলে জানা নেই। তবে একথা বলতে দ্বিধা নেই যে, ঘটনার ২২ বছর পর আরবি অনুষ্ঠান সেই গ্যাপ পূরণ করেছিল। অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে তাতে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকাও ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বেতারের সব অনুষ্ঠানেই বঙ্গবন্ধুর ওপর অনুষ্ঠানাদি প্রচার করা হয় এবং আরবি অনুষ্ঠানও তার বাইরে ছিল না।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার যে, বহির্বিশ্ব কার্যক্রম কর্তৃপক্ষ আরবি অনুষ্ঠানের নিয়মিত কর্মরত হিসেবে এই লেখককে বঙ্গবন্ধুর ওপর আরবিতে ধারবাহিক বিশেষ কথিকা রচনার দায়িত্ব প্রদান করেন। দীর্ঘ কথিকাটি রচিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নিয়ে গেলে বলা হলো, আপনি আরবি ভাষায় কি লিখেছেন তা আমরা কিভাবে বুঝব, এটাকে বাংলায় অনুবাদ করে আমাদের কাছে নিয়ে আসুন। নির্দেশ মতো তাই করা হলো। বাংলায় অনূদিত কথিকাটি পাঠ করার পর মূল আরবি কথিকা অনুষ্ঠানে প্রচারের অনুমতি পাওয়া গেল এবং ১৫ আগস্টের রাত থেকে তা ধারাবাহিক কয়েক রাতে প্রচারিত হলো।
এ প্রসঙ্গে অপর একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করা যেতে পারে। একই বছর দৈনিক ইনকিলাব বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পত্রিকায় তখন খ-কালীন কর্মরত হিসেবে এই লেখককেও বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি লেখা দেয়ার জন্য বলা হলো। তখন বাংলাদেশ বেতারের আরবি অনুষ্ঠানের জন্য রচিত কথিকাটির আলোকে একটি লেখা প্রস্তুত করা হলো। একই সালের ১৫ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবে ‘মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী’ সংখ্যায় ‘দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা’ শিরোনামে প্রকাশিত এ লেখায় ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ বেতারের বহির্বিশ্ব কার্যক্রমের আরবি অনুষ্ঠানের প্রস্তাবক ছিলেন মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ এবং তা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রবর্তিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোকে এবং ওইসব দেশের আরব ভাইদের বাংলাদেশের নিকটবর্তী এবং বাংলাদেশের সাথে তাদের দেশের নানা ক্ষেত্রে যোগাযোগ-সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে আরবি অনুষ্ঠানের বহুমুখী ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ অনুষ্ঠান মধ্যপ্রাচ্য তথা আরব বিশ্বের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং এতদসংক্রান্ত সকল কৃতিত্বের প্রকৃত অধিকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এজন্যও ইতিহাসে অমর ও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
(সমাপ্ত)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন